কলকাতার নজরুল মঞ্চ অডিটরিয়ামে কনসার্টের পর মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ভারতের বিখ্যাত গায়ক কেকের।
তার মৃত্যুর পর যেসব ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, সেগুলোর একটিতে দেখা যাচ্ছে, কেকে ভেন্যু থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। তাকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছে।
সেই ভিডিও দেখে অনেকে অনুষ্ঠানস্থলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। একই প্রশ্ন সামনে এনেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরাও।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গায়কের মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে বিষয়টি জানা যাবে। পুলিশ এরই মধ্যে অপমৃত্যুর মামলা করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে কেউ কেউ জানিয়েছেন, কনসার্টের অডিটরিয়ামে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করছিল না।
তাদের ভাষ্য, দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চের বদ্ধ অডিটরিয়ামে কেকের কনসার্টে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গায়ক প্রচুর ঘামছেন; টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছছেন। সেই সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বহুত জিয়াদা গরম হ্যায়’ (অনেক বেশি গরম)।
গরমের বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কলকাতার সংগীতশিল্পী রুপম ইসলাম ও বাংলাদেশের নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
রুপমের লেখার একটি অংশে আছে, ‘নজরুল মঞ্চ ওভারক্রাউডেড হয়ে গেলে কী হয়, সে অভিজ্ঞতা আছে। এসি বন্ধ হয়ে যায়। মঞ্চেও সারি বেঁধে দর্শক দাঁড়িয়ে থাকলে দম নেয়ার ফাঁকটুকুও থাকে না। কয়েক দিন আগে এ রকমই এক অনুষ্ঠানে রকসংগীত পরিবেশন করেছিলাম।
‘অভ্যাস না থাকলে পারা মুশকিল—এ নিয়ে কয়েকটি মন্তব্য করেছিলাম। এখন হয়তো কেউ কেউ বুঝবেন—কতটা শারীরিক কষ্ট সহ্য করে আমাদের পারফর্ম করতে হয়। ঠান্ডার দেশ তো আর নয়!’
উজ্জ্বলের লেখার শুরুর অংশেই আছে, ‘সারা রাত ধরে কলকাতার নজরুল মঞ্চে কেকের কনসার্টের ছোট ছোট ক্লিপ আর সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের লেখা থেকে যা বুঝলাম, তাকে জাস্ট মেরে ফেলা হয়েছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ দর্শক প্রবেশ করান আয়োজকরা। সেটাকে থামাতে না পেরে নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের সব এসি বন্ধ করে দেয়।
‘কেকে বারবার জানান, তার এই গরমে গাইতে কষ্ট হচ্ছে, গানের ফাঁকে বারবার তোয়ালে দিয়ে ঘাম মুছছিলেন! একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটরিয়ামে হাজার কিলো লাইটের মাঝে এসি ছাড়া কী করে টিকে থাকা সম্ভব? তার পরে আবার গান করে যাওয়া!’