ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথ (কেকে) মারা গেছেন। কলকাতায় একটি কনসার্টে পারফর্ম করার পর হোটেলে ফিরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক জানান, ইতোমধ্যে মারা গেছেন তিনি।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গুরুদাস কলেজের এক অনুষ্ঠান চলাকালে অসুস্থবোধ করেন কেকে। পরে চলে যান হোটেলে।
এর প্রায় ১০ ঘণ্টা পর হোটেলের সিঁড়িতে পড়ে যান কেকে। দ্রুত কলকাতা মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে, চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে মুম্বাই থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান আসার পর কেকের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গেছে।
কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, যার মঞ্চের নাম ছিল কেকে। ‘পাল’ এবং ‘ইয়ারন'’এর মতো গানের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে কিশোর-তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার গান। ভারতের বিভিন্ন স্থানে স্কুল-কলেজের বিদায় অনুষ্ঠান এবং নানামুখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও তার গাওয়া গান শোনা যায়।
কেকের প্রথম অ্যালবাম বের হয় ১৯৯৯ সালে। যথারীতি তা সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে তিনি প্লেব্যাক গানে কণ্ঠ দেয়া শুরু করেন। নিজস্ব ভঙ্গিমায় বলিউড চলচ্চিত্র অঙ্গনে জনপ্রিয় গানের একটি বিস্তৃত পরিসর গড়ে তোলেন তিনি।
কেকে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলেছিলেন, “একজন শিল্পী যখন মঞ্চে থাকে তখন নির্দিষ্ট একটা শক্তি থাকে। কারও অবস্থা যাই হোক না কেন, একবার মঞ্চে উঠলে, সবকিছু ভুলে যাই এবং কেবল অভিনয় করি।”
হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি এবং বাংলাসহ অনেক ভাষার গান রেকর্ড করেছেন কেকে।
খুদা জানে, তু হি মেরি শাব হ্যায়, আওয়ারাপন বানজারাপন, তারাপ তারাপ, দিল ইবাদাত, তুহি হাকিকাত, হালে দিল, ও মেরি জান, হাম দিল দে চুকে সানাম, তুম মিলেসহ জনপ্রিয় অনেক গানে কন্ঠ দিয়েছেন গুণী এই শিল্পী।
কেকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। টুইটে তার পরিবার ও ভক্তের প্রতি সমবেদনা জানান নরেন্দ্র মোদি।
অভিনেতা অক্ষয় কুমার টুইটে লিখেছেন, ‘কেকে-এর দুঃখজনক মৃত্যুতে অত্যন্ত দুঃখ ও মর্মাহত। কী ক্ষতি! ওম শান্তি।’
গায়ক পাপন আঙ্গারাগ লিখেছেন, ‘জীবন খুবই অনিশ্চিত! ঈশ্বর পরিবারকে শক্তি দিন! কেকে আপনাকে মিস করব ভাই! আপনি, আপনার কণ্ঠ এবং আপনার গান আমাদের সঙ্গে চিরকাল থাকবে।’