‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমা মুক্তি পায় ২০১৭ সালে। সিনেমাটির প্রযোজনায় দেখা যায় পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের নাম। ওই সিনেমার সিক্যুয়াল ‘মিশন এক্সট্রিম’ মুক্তি পায় ২০২১-এর ডিসেম্বরে। তখন অবশ্য ট্রাস্টের নাম পাওয়া যায়নি প্রযোজকের তালিকায়।
মিশন এক্সট্রিম সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে এসে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জানিয়েছিলেন, ট্রাস্ট থেকে আরও কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকি তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত তথ্য ও সম্প্রচার সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ‘সিনেমায় প্রণোদনা হিসেবে যে ১ হাজার কোটি টাকা ঘোষণা করা হয়েছে, সেখান থেকে ফান্ড কল্যাণ ট্রাস্টকে দিন। আমরা এটাকে প্রফিটেবল প্রজেক্টে পরিণত করব।’
হাজার কোটি টাকার ফান্ড থেকে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ চেয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ও ঢাকা অ্যাটাক সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ারের কাছে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আইজিপি স্যারের পরিকল্পনা। এটা নিয়ে আমি কথা বলতে পারব না।’
তবে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ ওয়েলফেয়ার যেটি আছে, তার আওতায় যেসব ভবন রয়েছে সেগুলোতে সিনেপ্লেক্স করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সানী সানোয়ার বলেন, ‘রাজধানীর পলওয়েল মার্কেট পুলিশ ওয়েলফেয়ারের। সেখানে সিনেপ্লেক্স করার পরিকল্পনা চলছে। যতটুকু জানি, জোনাকি হলটাও ভাঙা হবে, সেখানে মার্কেট হবে এবং সিনেপ্লেক্স করা হবে। ঢাকার উত্তরা, বগুড়া ও কুমিল্লাতেও পুলিশ ওয়েলফেয়ারের ভবনে সিনেপ্লেক্স হচ্ছে, যেটা তদারকি করছে স্টার সিনেপ্লেক্স।’
মিশন এক্সট্রিম মুক্তি পেয়ে গেছে, মিশন এক্সট্রিম টু সিনেমাটিও মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু এর পর কী?
সানী বলেন, ‘করোনার মধ্যে আরও তিন-চারটি স্ক্রিপ্ট রেডি করেছি। সেগুলো নিয়ে শুটিং শুরু করে দেয়া যেত। নিশ্চয় সেটা শিগগিরই জানতে পারব।’
আগামী দিনে যেসব সিনেমা আসবে সেগুলোতে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অংশগ্রহণ থাকবে কি না তা নিশ্চিত করে বলেননি সানী সানোয়ার।