চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য সাইমন তারিক। এ চোখে শুধু তুমি, গুন্ডামী, ক্রাইম রোড নামের সিনেমা পরিচালনা করেছেন তিনি। পরিচালক এখন ঋণে জর্জরিত। অনেকের কাছে তিনিও টাকা পান, কিন্তু সেই টাকা তুলতে পারছেন না।
ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় ভুগছেন এ নির্মাতা। তবে তার এ ঋণ বা আর্থিক দুরবস্থা সিনেমা নির্মাণ করতে গিয়ে হয়নি।
বুধবার রাতে মোবাইলে সাইমন তারিকের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি বলেন, ‘আমি ঋণে পড়েছি ব্যবসা করতে করতে।’
সিনেমার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কাপড়ের ব্যবসা করতেন তারেক। সবশেষ করেছেন ব্রোকারের ব্যবসায়। কিন্তু ব্যবসায় লাভের মুখ দেখেননি। আবার ব্যবসায়ী অংশীদাররাও আর্থিকভাবে ঠকিয়েছেন, টাকা নিয়ে চলে গেছেন বলে জানান তিনি।
তারেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সব মিলিয়ে এখন আমার ঋণের পরিমাণ ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা। আমিও অনেকের কাছে টাকা পাব। সেই টাকার পরিমাণ ১০ লাখেরও বেশি। কিন্তু যাদের কাছে টাকা পাব, তারা ফোন ধরে না। অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছে।’
এসব নিয়ে হতাশ সাইমন তারিক বুধবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে তিনি চোখ দান, দেহ দানসহ কিডনি বিক্রি করতে চেয়েছেন। জানিয়েছেন, এ ছাড়া কোনো উপায় তিনি পাচ্ছেন না।
নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, এ ধরনের স্ট্যাটাস দেয়া ঠিক হয়নি। হতাশা থেকে স্ট্যাটাসটি দিলেও তা তিনি মুছে ফেলবেন বলেও জানান।
শুটিংয়ের সময় পরিচালক তারেক। ছবি: সংগৃহীত
তারিক বলেন, ‘শেষ ২৪ ঘণ্টা আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না। কী করব, কোথায় যাব, কোন দিকে আগাব, কিছুই বুঝতে পারছি না। একটু একটু করে ঋণ নিতে নিতে আজ এ অবস্থা।’
এখন আর কোনো কাজের সঙ্গেই যুক্ত নেই সাইমন তারেক। তাহলে দৈনন্দিন জীবন চলছে কীভাবে, জানতে চাইলে বলেন, ‘কীভাবে চলছে জানি না। আজ একজন আমার দুর্দশার কথা শুনে ৫০০ টাকা বিকাশ করেছে। যে টাকাটা পাঠিয়েছে তার অবস্থাও খারাপ। তারপরও পাঠিয়ে বলেছে, নে এক-দুই দিন বাজার কর।’
তারেকের স্ত্রী আগে চাকরি করলেও এখন তিনি গৃহিণী। বাসাতেই থাকছেন, শারীরিক অসুস্থতা ছিল, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। সিনেমা নির্মাণের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তাদের একমাত্র মেয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখাপড়া করেন।