বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাফ্‌ফার চৌধুরী চিরকাল অমলিন: জয়া

  •    
  • ১৯ মে, ২০২২ ১৭:৫২

জয়া লেখেন, ‘জাতির মর্মমূলে গেঁথে যাওয়া এই গান টিকে থাকবে বাঙালি যত দিন পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকবে তত দিন। এই গানটি যদি বেঁচে থাকে, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুও কি তাহলে সম্ভব!’

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা, লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী আর নেই।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শোক ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

তেমনিভাবে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেছেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি যদি বেঁচে থাকে, ততদিন গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যু কি সম্ভব।'

ফেসবুক পেজে গাফ্ফার চৌধুরীর একটি ছবি পোস্ট করে জয়া লেখেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসটি এলেই আমাদের কার না মনে বাজতে থাকে সেই গানটি! আর একুশের ভোর থেকে সে গান ছাপিয়ে সারা বাংলাদেশের আকাশে-বাতাসে; ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’।

‘‘জাতির মর্মমূলে গেঁথে যাওয়া এই গান টিকে থাকবে বাঙালি যত দিন পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকবে তত দিন। এই গানটি যদি বেঁচে থাকে, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুও কি তাহলে সম্ভব!’’

মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। বরিশালের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে তার জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী উলানিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে।

১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন। ১৯৪৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর তাকে চলে যেতে হয় বরিশাল শহরে। তিনি ভর্তি হন আসমত আলী খান ইনস্টিটিউটে।

সে সময় আর্থিক অনটনের শিকার হয়ে উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। ১৯৪৭ সালে তিনি কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত ‘কংগ্রেস হিতৈষী’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন।

বরিশাল শহরে কিছুদিন মার্কসবাদী দল আরএসপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবনেই তার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।১৯৪৯ সালে ‘সওগাত’ পত্রিকায় আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর প্রথম গল্প ছাপা হয়।

১৯৫০ সালেই গাফ্ফার চৌধুরীর কর্মজীবন পরিপূর্ণভাবে শুরু হয়। এ সময়ে তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

পরবর্তী সময়ে ‘সংবাদ’, ‘সওগাত’, ‘মেঘনা’, ‘চাবুক’, ‘আজাদ’, ‘জনপদ’, ‘বাংলার ডাক’, ‘সাপ্তাহিক জাগরণ’, ‘নতুন দেশ’, ‘পূর্বদেশ’সহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেন।

প্রবাসে বসেও গাফ্‌ফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোয় নিয়মিত লিখেছেন।

গাফ্ফার চৌধুরীর বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘নাম না জানা ভোর’, ‘নীল যমুনা’, ‘শেষ রজনীর চাঁদ’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ও ‘পলাশী থেকে ধানমণ্ডি’।

বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, ইউনেসকো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, সংহতি আজীবন সম্মাননা পদক, স্বাধীনতা পদকসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর