বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদের দিনের দীঘি

  • মইনুল হক রোজ   
  • ৪ মে, ২০২২ ১০:০০

আমার ঈদের শুরু হয় শপিং দিয়ে। না না ভাববেন না আমার নিজের শপিং। বাবা, ভাই, মামা এদের সবার জন্যই আমি শপিং করি আগে। তারা কিনুক বা না কিনুক আমার তরফ থেকে তাদের জন্য পাঞ্জাবি গিফট হিসেবে থাকে মাস্ট।

ময়না পাখি নিয়ে খেলার মতো সময়টা আর পান না তিনি। বড় হওয়ার সাথে সাথে বেড়ে গেছে নানা ব্যস্ততা। পড়াশোনা, অভিনয়, মডেলিং আরও কত কী এখন কাজের তালিকায়! বলছি দীঘির কথা। এক বিজ্ঞাপনে বাজিমাত করা সেই ছোট্ট দীঘি আর ছোট্টটি নেই। শিশুশিল্পীর পরিবর্তে এখন তার নামের পাশে যোগ হয়েছে চিত্রনায়িকার খেতাব। ব্যস্ততা এখন তার নিত্যসঙ্গী। তবে এত ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু বাবাকে নিয়ে নিজেদের ছোট্ট সংসারের জন্য ঠিকই সময় বের করে সবই সামলান তিনি। ঈদের দিনগুলো কিভাবে কাটে-চলুন শুনি দীঘির মুখ থেকেই।

‘আমার ঈদের শুরু হয় শপিং দিয়ে। না না ভাববেন না আমার নিজের শপিং। বাবা, ভাই, মামা এদের সবার জন্যই আমি শপিং করি আগে। তারা কিনুক বা না কিনুক আমার তরফ থেকে তাদের জন্য পাঞ্জাবি গিফট হিসেবে থাকে মাস্ট। যেমন, বাবার জন্য আমি এরই মধ্যে পাঞ্জাবি কিনে ফেলেছি। হয়তো আরও কেনা হবে। দেখা যাক।

ঈদের দিন ঘুম থেকে উঠে যাই সকাল সকালে। এটা আমার ছোটবেলা থেকেই চলে আসছে। তবে আগে যেমন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নতুন জামাকাপড় পরে রেডি হয়ে যেতাম, এখন তাতে একটু পরিবর্তন এসেছে। সেটা হলো, গেল তিন বছর ধরে আমাদের বাসার ঈদের সব রান্নাবান্না আমি নিজেই করি। মূলত চাঁদরাত থেকেই শুরু হয়ে যায় আমার এই রান্নাবান্নার কাজ। আমি খুব এনজয় করি রান্না করা। এখানে একটু বলে রাখি, আমি কিন্তু অন্য সময়েও ফ্রি থাকলেই রান্না করতে পছন্দ করি। ঈদের দিনের রান্নায় আমি সব সময় আলাদা একটা কিছু করার চেষ্টা করি। যেমন গেল ঈদে আমি গোলাপজামুন বানিয়েছিলাম। সবাই খুব পছন্দ করেছিল তা। এবারও নতুন কোনো পদ রান্না করব। এর পাশাপাশি স্পেশালি গরুর মাংস খুব ভালো রান্না করতে পারি। আমার এই ডিশটা সবার অনেক পছন্দের। এটাও করা হবে। রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকলেও বাবার কাছ থেকে ঈদের সালামি নিতে আমি একদমই ভুলে যাই না! অঙ্কটা যা-ই হোক না কেন, বাবার কাছ থেকে সালামি পাওয়ামাত্রই আমার ঈদের শুরুটা হয়ে যায়।

ঈদের দিন আমি বাসাতেই থাকার চেষ্টা করি। কারণ আমার আশপাশে অনেক বন্ধু থাকে। তারা আসে বেড়াতে। প্রতিবেশীরা আসেন। তাদের আপ্যায়ন, সময় দেয়ার কাজটা আমিই করি মূলত। তবে ঈদের দিন একেবারেই যে বাইরে যাই না তা কিন্তু না। আশপাশের বন্ধুদের বাসায় যাওয়া হয়। তবে সেটা দুপুরের পর।

ঈদের দিন বেড়াতে গেলে আমার পছন্দ সালোয়ার-কামিজ বা কুর্তি টাইপের পোশাক। ঘোরাঘুরি করার জন্য আমার এ ধরনের পোশাকে কমফোর্ট ফিল করি। অনেকেই বলেন, ঈদের দিন শাড়ি কেন পরি না। আসলে শাড়ি পরতে আমিও পছন্দ করি। কিন্তু শাড়ি পরতে অনেক সময় লাগে। ঈদের দিন নানা কাজ থাকে বলে আমি একটু আরামদায়ক পোশাকই পরি। তবে ঈদের পরের দিন দেখা যায় শাড়ি পরে ঘুরতে বেরিয়ে যাই। এবার এখনও প্ল্যানিং করা হয়নি ঘোরাঘুরির। দেখি কী হয়। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার ঈদ যেমন একেবারে সাদামাটা না, তেমনি খুব জমকালোও না। আমার ঈদ আমার মতো।’

এ বিভাগের আরো খবর