বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বুলবুলি’ বিতর্ক ও ঋতু রাজকে ফিরে পাওয়া

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:২৮

গানটির সুর কম্পোজিশন ও সংগীতায়োজন করেছেন শুভেন্দু দাশ শুভ। তিনি বলেন, ‘গানটির ফ্ল্যামিঙ্কো ও রুম্বা রিদমের ওপর করা। আর ড্রামে ব্যবহার করা হয়েছে জ্যাজ রিদম।’

কোক স্টুডিও বাংলার তিনটি গান প্রকাশ হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ এপ্রিল প্রকাশ পাওয়া ‘বুলবুলি’ গানটি পেয়েছে ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা; এই হিসাবটা দিচ্ছে ইউটিউব।

সেখানে দেখা গেছে, চার দিনে গানটি দেখা ও শোনা হয়েছে ২০ লাখ বার। আগের দুটি গানের প্রথমটি ‘নাসেক নাসেক’ এক মাসে এক কোটি এবং দ্বিতীয় গান ‘প্রার্থনা’ দুই সপ্তাহে দেখা হয়েছে ৫৩ লাখ বার।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ও সুর করা ‘বুলবুলি’ গানটি নিয়ে অবশ্য কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, নজরুলের ছেলে হারানোর শোকে লেখা ‘বুলবুলি’ গানটিতে আনন্দময় ছন্দ ব্যবহার করে এর মূল ভাব থেকে সরে আসা হয়েছে কোক স্টুডিওর গানটিতে।

এর আগে অনেক শিল্পী গানটি গেয়েছেন। সেখানে বাদ্যযন্ত্র পরিবর্তন হয়েছে, সংগীতায়োজনেও এসেছে পরিবর্তন। তবে কেউ মূল ভাব থেকে সরে জাননি বলেই দাবি সমালোচকদের।

এমন সমালোচনার পর কোক স্টুডিও বাংলার ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর গাউসুল আলম শাওন ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, “দয়া করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুল তথ্য ছড়াবেন না। সন্তানের মৃত্যুশোকে লেখা কাজী নজরুল ইসলামের গানটি হচ্ছে ‘ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি’, ‘বাগিচায় বুলবুলি...’ নয়।”

গানটির সুর, কম্পোজিশন ও সংগীতায়োজন করেছেন শুভেন্দু দাশ শুভ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘গানটির ফ্ল্যামিঙ্কো ও রুম্বা রিদমের ওপর করা, ড্রামে ব্যবহার করা হয়েছে জ্যাজ রিদম।’

‘বুলবুলি’ গানটির সুর কম্পোজিশন ও সংগীতায়োজন করেছেন শুভেন্দু দাশ শুভ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি জানান, সংগীতশিল্পী অর্ণবের বাসায় ফ্ল্যামিঙ্কো ও রুম্বা রিদম নিয়ে প্র্যাকটিস করতে করতে মনে হয় যে ‘বুলবুলি’ গানটি এ রিদমে করলে ভালো লাগবে। সেখান থেকেই এটা করা।

গানটি নিয়ে বিতর্ক চোখে পড়েছে শুভেন্দুর। তিনি বলেন, ‘এই রিদমে এমন অনেক স্টেজ শো আছে যেগুলোর গল্প অন্য রকম, মানে সুর শুনলে মনে হবে উদযাপনের আর গল্পটা হয়তো তেমন না। এটা সংগীতের ঢং। যেকোনো গান বা সব গানই যে শুধু তার কথার ওপর ভিত্তি করেই করতে হবে তেমনটা আমার মনে হয় না।’

তবে যে যা-ই বলুক ‘বুলবুলি’ গানটি শুনছেন শ্রোতারা। আর গানটিতে বেশির ভাগ অংশে শোনা গেছে ঋতু রাজের কণ্ঠ। ঝাঁকড়া-কোঁকড়া চুলের জন্য যেমন ঋতুকে আলাদা করা যায়, কণ্ঠের জন্যও তাকে অন্যভাবে চেনা সম্ভব। ধ্রুপদি ও নজরুল সংগীতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন তিনি।

সংগীতে নিয়মিত নন ঋতু। ব্যাংক ও করপোরেট চাকরি করে গান গাওয়ার সময় পেতেন না। সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

কণ্ঠশিল্পী ঋতু রাজ। ছবি: সংগৃহীত

কোনো কাজে নিয়মিত না হলে তাকে ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। এ ক্ষেত্রে ঋতুকে কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল বা কীভাবে তিনি যুক্ত হলেন, সেই গল্প নিউজবাংলাকে বলেন ঋতু নিজেই।

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বরে আমি একটি অনলাইন আয়োজনে যুক্ত হয়েছিলাম। সেখানে শুভেন্দু দাশ শুভ ছিলেন। যিনি বুলবুলি গানটির সুর, কম্পোজিশন ও সংগীতায়োজন করেছেন। সেই অনুষ্ঠান শেষে আমাদের কথা হয়। তিনি আমাকে অর্ণব দার কাছে নিয়ে যান। পরে প্রজেক্টে যুক্ত হয়ে যাই।’

গানটিতে সানজিদা মাহমুদ নন্দিতাও কণ্ঠ দিয়েছেন। তবে তিনি গেয়েছেন গাউসুল আলম শাওনের লেখা কিছু লাইনে। একদম শেষ অংশে কেন ওই লাইনটুকু রাখার প্রয়োজন হলো, সে প্রসঙ্গেও কথা বলেন ঋতু।

কণ্ঠশিল্পী সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘গানটাকে একটা আলাপচারিতার মতো ঢং দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। নন্দিতা এখানে ফুলের চরিত্র পালন করেছে। গানের পাখি বুলবুলি ও ফুলের আলাপচারিতা মূলত। সে জন্যই এই অংশ। এটা কেন করতে হলো, সেটা আমি বলতে পারব না। যারা এটা ডিজাইন করেছেন ওনারা বলতে পারবেন।’

ছোটবেলা থেকে মায়ের কাছেই গান শিখেছেন ঋতু রাজ। গানেই এখন সময় দিতে চান। তা না হলে হয়তো ফিরতে হবে চাকরিতে। তবে সেই পরিকল্পনা এখনই আঁটছেন না তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর