রাজধানীর রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর ঘিরে বর্ষবরণের আয়োজনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থলপথের পাশাপাশি আকাশ ও নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক টহল রাখা হয়েছে।
বাংলা নববর্ষের দিনে ভোর থেকে রাজধানীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে বাড়তি পুলিশ।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ঘিরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কেউ যেন নাশকতা চালাতে না পারে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহিনীর সমন্বয়ে বর্ষবরণের নিরাপত্তা বেষ্টনী করা হয়েছে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে রাজধানীর ৩৭টি পয়েন্ট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রমনা পার্ক ও রবীন্দ্র সরোবরকেন্দ্রিক সড়কগুলোতে রোড ব্লক বসিয়েছে ডিএমপি।
রোড ব্লক বসানো স্থান থেকে কোনো গাড়ি ভেতরের সড়কে প্রবেশ করতে পারছে না। হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে বৈশাখে আনন্দ আয়োজনে যোগ দিতে আসা নগরীর বাসিন্দাদের।
দুপুর ২টার মধ্যে বর্ষবরণের সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। ২টার পর রোড ব্লকগুলো সরিয়ে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
ছুটির দিন হওয়ায় সকাল ১০টা পর্যন্ত রোড ব্লকের কারণে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে কোনো যানজট দেখা যায়নি।
রমনার বটমূলে প্রবেশে চেকপোস্ট রয়েছে। চেকপোস্টে চেক না করে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না; চলছে না কোনো যানবাহন। গত দুই দিন রমনা এলাকায় ডগ স্কোয়াড সুইপিং করেছে। পুরো চত্বর রয়েছে সিসিটিভি সার্ভিলেন্সের আওতায়।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ বিশেষায়িত টিমগুলো সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রমনা ও ধানমন্ডি লেকে নৌপুলিশের পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের টহল রয়েছে। একই সঙ্গে আকাশপথে টহল দিচ্ছে র্যাবের এয়ার উইংয়ের সদস্যরা।
বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণ জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০০১ সালকে মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হচ্ছে। রিসেন্টলি কিছু বন্ধু রাষ্ট্র জঙ্গিদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দিচ্ছে।
‘উপমহাদেশে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ধারণা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু রেডিক্যালাইজড সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ্য করছি। সে কারণেই আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা।’