বিশেষ দিবসে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি সবসময় নানা আয়োজন নিয়ে আসে দর্শকদের সামনে। এবার স্বাধীনতা দিবসেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
এই ছুটিতে দেখে ফেলতে পারেন চরকিতে থাকা দেশীয় ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু সিনেমা ও সিরিজ।
গত বছর ডিসেম্বর চরকি মুক্তি দিয়েছিল জাগো বাহে নামে একটি অ্যান্থলজি সিরিজ। সেই সিরিজের তিনটি পর্বে দেখা যাবে ভাষা আন্দোলন, ১৯৭০ ও ১৯৭১-এর প্রেক্ষাপট।
শব্দের খোয়াব, লাইট ক্যামেরা অবজেকশন ও বাংকার বয় নামে সিরিজগুলো পরিচালনা করেছেন সিদ্দিক আহমেদ, সালেহ সোবহান অনীম ও সুকর্ণ ধীমান। স্বাধীনতার এই দিনে দেখে ফেলতে পারেন চমৎকার এই সিরিজটি।
বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে প্রথম বাংলাদেশি পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন ফিল্ম মুজিব আমার পিতা। এতে উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ কিছু ঘটনা।
সোহেল মোহাম্মদ রানা পরিচালিত মুজিব আমার পিতা ফিল্মটি দেখে ফেলতে পারেন চরকিতে।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা মুক্তি পায় ২০১১ সালে। সিনেমাটি সেবছর সর্বোচ্চ ১০টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।
এছাড়া সিনেমাটি ২০১১ সালে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কার পায়। জয়া আহসান অভিনীত এই সিনেমাটিও রয়েছে চরকিতে।
খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম ২০০৬ সালে নির্মাণ করেন খেলাঘর। এটি মূলত মাহমুদুল হকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাহিনীর উপন্যাস ‘খেলাঘর’ অবলম্বনে নির্মিত।
এতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, সোহানা সাবা, আরমান পারভেজ মুরাদ, গাজী রাকায়েত, আবুল হায়াতসহ অনেকে।
১৯৮৪ সালের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাহিনি নিয়ে পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য আগামী। কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ তার নিজেই।
এতে অভিনয় করেছেন পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফাহমিদা পারভীন মিঠু, আলী যাকের, মুজিবুর রহমান দিলু ও রওশন জামিলসহ অনেকে।
এছাড়াও এদিনে চরকিতে দেখতে পারেন, হুমায়ূন আহমেদের পদ্ম, নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল, সাইদুল আনাম টুটুলের আধিয়ার।