জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ এর আজীবন সম্মাননা যুগ্মভাবে পেয়েছেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী রাইসুল ইসলাম আসাদ ও আনোয়ারা বেগম। এছাড়া ২৭ বিভাগে ৩২ জন পেয়েছেন পুরস্কার।
পুরস্কার প্রদান শেষে সবার পক্ষে মঞ্চে কথা বলেন জনপ্রিয় অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ।
তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) এখানে দাঁড়াতে পেরেছি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় সম্মানিত হতে পারছি, এর কারণ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আর এ স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ হত না। আমিও অভিনেতা হতে পারতাম না।
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, মন্ত্রী মহোদয়, বিশেষ অতিথি ও চলচ্চিত্র প্রেমী, সুধিমন্ডলী। যুদ্ধফেরত আসাদকে জোর-জবরদস্তি করে অভিনেতা বানিয়ে দেয়া হলো, যেই স্বপ্ন সে কোনোদিন দেখেনি, চিন্তাও করেনি।’
‘৭২ এ মঞ্চ, টেলিভিশন, ৭৩ এ চলচ্চিত্র, দেখতে দেখতে ৫০ বছর পার। যারা ঠেলা, ধাক্কা দিয়ে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সব নাম এক সঙ্গে মনে করতে পারি না, তাই বাদ পড়ার ভয়ে কারও নাম উল্লেখ করলাম না। শুধু একটা নাম সোহেল সামাদ। সহযোদ্ধা, বয়সে ছোট, অধিকারে বড়।
‘একাত্তরের ডিসেম্বরে ২৪ বা ২৫ তারিখ, বিজয়ের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঢাকায়। জোর করে আমার কন্ঠ ব্যবহার করল। তারপর থেকে শুরু হয়ে গেল।
‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যারা আমাকে এই সম্মানে উপযুক্ত মনে করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সর্বপরি এ অনুষ্ঠানের অন্যসব পুরস্কার গ্রহণকারীর পক্ষ থেকেও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
‘কত কথা মনে পড়ে, কত ঘটনা, কত চরিত্র এলোমেলো ঘুরপাক খায়, ছুটে চলে, ডিগবাজি দেয়, আবার কখনও কখনও হামাগুড়ি দেয়।’
সবশেষে সেলিম আল দ্বীনের নাটকের সংলাপ শোনান এই শক্তিমান অভিনেতা, আর জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।