বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহান ভাই তার ভুল ঢাকার জন্য অনেক কিছুই করবে: জায়েদ

  •    
  • ৫ মার্চ, ২০২২ ২১:০৫

জায়েদ খান বলেন ‘আমি কাউকে ঢুকতে দিইনি- এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে তো তারা কোনো কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ কিছুই নেই। মুখে মুখে যা মনে হলো পাঁচ-সাতজন মিলে তাই করছে তারা।’

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন শিল্পী সমিতির ভোটার ছাড়া অন্য সমিতির কেউ এফডিসিতে ঢুকতে পারেননি। এর পেছনে জায়েদ খানের ভূমিকা আছে প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করে জায়েদ খানকে বয়কট করেছে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন।

পরিচালক সমিতির প্যাডে শনিবার সন্ধ্যায় পরিচালক সিমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের স্বাক্ষর করা চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এ চিঠি যখন গণমাধ্যমের হাতে আসে, তখন জায়েদ খান শিল্পী সমিতিতে অবস্থান করছিলেন এবং একটি গণমাধ্যমের লাইভ টকশো অংশ নিয়েছিলেন।

সেখানে জায়েদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘যে কারণটা বলা হয়েছে সেটা অন্যায়। এটা এখন হাস্যকর বিষয় হয়ে গেছে, এই বয়কট, ওই বয়কট। সমস্যার সমাধান না করে সমস্যার দিকে ছুটে চলা।

‘এটা তো আমি আগেই বলেছিলাম, কোর্টের রায় যদি হয়, আমি যদি জয়লাভ করি, তাহলে কিছু লোক এটা করবে। এ পরিকল্পনা আগে থেকেই চলছে, এটা আসলে প্রি-প্ল্যানড।

‘যে কারণ দেয়া হয়েছে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন আমি ঢুকতে দিইনি, সেটা এতদিন পর কেন এলো? সেখানে তো আমার কোনো দায়ভার নেই।

‘যে চিঠিতে আমাকে বয়কটের আদেশ দেয়া হয়েছে, সে চিঠিতে যার স্বাক্ষর আছে, সেই সোহানুর রহমান সোহানই তো এফিডিসির এমডির কাছে বলে এসেছেন যে, কেউ আসবেন না, আপনি নির্বাচনের ডেটটা দেন। আমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিলাম, আমরা কেউ আসব না।

‘তারপর তেজগাঁও বিভাগের যিনি উপ-পুলিশ কমিশনার, তার কাছে দুই প্যানেলের পাঁচজন পাঁচজন ১০ জন মিলে নির্বাচন কমিশনারসহ মিটিং করে এসেছি যে এফডিসির এমডি, নির্বাচন কমিশনার মিলে যে সিদ্ধান্ত নেন, আমরা মেনে নেব।

‘তার পরও আমার ওপর কেন দোষ চাপানো হবে। এতগুলো মানুষকে ঢুকতে না দেয়ার আমি কে, আমি তো একজন প্রার্থীমাত্র। এটা কোনো কারণই হতে পারে না।

‘১৮ সংগঠনের মধ্যে তো শিল্পী সমিতিও আছে। ওনারা কি শিল্পী সমিতির প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপ করেছেন? শিল্পী সমিতির কেবিনেট আছে, কাঞ্চন সাহেব, ডিপজল সাহেব, রুবেল সাহেব, কারও সঙ্গে কি আলাপ করেছেন।

‘আমি কাউকে ঢুকতে দিইনি- এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে তো তারা কোনো কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ কিছুই নেই। মুখে মুখে যা মনে হলো পাঁচ-সাতজন মিলে তাই করছে তারা।

‘প্রযোজক সমিতির বর্তমান নেতৃত্ব নেই। বর্তমানে প্রশাসক দিয়ে চলছে, কীভাবে ১৮ সংগঠন হলো? বিষয়গুলো খুবই হাস্যকর। সিনেমাকে আরও সার্কাসে পরিণত করা হচ্ছে।

‘সোহান ভাই ভুল করেছে, অন্যায় করেছে, এখন সেগুলো ঢাকার জন্য অনেক কিছু করবে। কাউকে বয়কট করতে চাইলে তো সমিতির অভ্যন্তরীণ মিটিং লাগে। আমি পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে ফোন করলাম, তিনি বললেন কিছুই জানেন না। তাহলে এগুলো কীভাবে হয়।’

২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে প্রথমে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান নির্বাচিত হন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে জায়েদের পদ বাতিল হয় এবং নিপুণ হন সাধারণ সম্পাদক।

পরে ঘটনাটি হাইকোর্টে গড়ায়। সেখানে জায়েদকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করলে নিপুণ আপিল করেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্ট্যাটাসকো বা স্থিতাদেশ দেয়া হয়।

একাধিকবার শুনানির পর বৃহস্পতিবার জায়েদকে আবারও বৈধ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন নিপুণ।

এ বিভাগের আরো খবর