বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ধর্মীয় স্থানে শুটিংয়ের বিধি চান ফারুকী

  •    
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:২৩

ফারুকীর মতে, ‘প্রার্থনার সুন্দর ও পবিত্র জায়গার ছবি তুলে প্রচারের মাধ্যমে সেটার সৌন্দর্য কমে না, পবিত্রতাও কমে না, বরং অনেকের কাছে সে সৌন্দর্য পৌঁছানোর একটা রাস্তা হয়। সংসদ ভবন বা এই রকম বিশেষ স্থাপনার ছবি তুলে প্রচারের মাধ্যমে এর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় না। আজকাল গুগল ম্যাপেই সব টার্গেট দেখা যায়।’

দেশের বাইরের অনেক সিনেমায় সে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, ধর্মীয় স্থাপনা ও আচারের সৌন্দর্য তুলে ধরতে দেখা যায়। সেগুলো দেখে মুগ্ধ হন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের দর্শক। অনেক কিছু সম্পর্কে জানাও যায়।

কিন্তু বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ধর্মীয় স্থাপনা ও আচারের সৌন্দর্য সিনেমা বা নির্মাণে তুলে ধরা যায় না বলেই দাবি খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর।

নিরাপত্তা বা পবিত্রতার দোহাই দিয়ে এমন জায়গাগুলোতে দৃশ্যধারণ করতে দেয়া হয় না বলে মনে করেন ফারুকী।

ফারুকীর মতে, ‘প্রার্থনার সুন্দর ও পবিত্র জায়গার ছবি তুলে প্রচারের মাধ্যমে সেটার সৌন্দর্য কমে না, পবিত্রতাও কমে না, বরং অনেকের কাছে সে সৌন্দর্য পৌঁছানোর একটা রাস্তা হয়। সংসদ ভবন বা এই রকম বিশেষ স্থাপনার ছবি তুলে প্রচারের মাধ্যমে এর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় না। আজকাল গুগল ম্যাপেই সব টার্গেট দেখা যায়। শুটিংয়ের ফুটেজ থেকে ছবি নিয়ে নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি করতে হয় না।’

তাই সংসদ ভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের আইকনিক স্থাপনা বা বাইতুল মোকাররমে ধর্মীয় আচারের সুন্দর ফুটেজ নেয়ার সুযোগ পেতে ফিল্ম কমিশন এবং লোকেশন সার্ভিস ডেস্ক চালুর দাবি করেছেন ফারুকী।

বৃহস্পতিবার রাতে পরিচালক তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়েও লিখেছেন বিস্তারিত।

ফারুকী লেখেন, ‘সারা দুনিয়ার পত্রিকায় এবং আপনার নিউজফিডে এত এত বার অস্ট্রেলিয়ার অপেরা হাউস আর হারবার ব্রিজের ছবি ছাপা হয়েছে এবং হচ্ছে যে আপনার মাথায় এটা গেঁথে যাচ্ছে। এখন একবার ভাবেন, অস্ট্রেলিয়া সরকার যদি আইন করে এই সব জায়গায় ছবি তোলা যাবে না বা শুটিং করা যাবে না, তাহলে কিন্তু আর এই ইমেজটা আপনার মাথায় গাঁথত না। এটা ইমেজের ম্যাজিক।

‘‘আমাদের একটা সংসদ ভবন আছে। যেটা সারা পৃথিবীতে একটা আইকনিক স্ট্রাকচার হিসেবে আমরা হাজির করতে পারতাম। কিন্তু আপনি সেখানে শুট করতে পারবেন না কারণ সেটা কেপিআই জোন। বিশেষ অনুমতি নিয়ে শুট করা সম্ভব যেটা অনেকের পক্ষেই পাওয়া কঠিন। তাই বলি, আপনি আপনার দেশের সেরা জায়গাগুলোতে যদি শুট না করতে দেন, তাহলে তো আপনার আফসোস করা উচিত না যে ‘তোমরা বাংলাদেশকে প্রপারলি দেখাও না’।

ধর্মীয় স্থাপনা ও আচারের ব্যাপারেও লিখেছেন ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ‘হিন্দু বা খ্রিষ্টধর্মের অনুষ্ঠানগুলো বাইরে ফিল্মমেকাররা এত সুন্দর করে তুলে ধরে, আমাদের ফিল্মমেকাররা মুসলমানদের রিচুয়ালগুলোকে সেভাবে তুলে ধরে না। কথা সঠিক। কিন্তু যারা এই কথাগুলা বলে তাদেরকে আমি জিজ্ঞেস করি “আমার একটা দৃশ্যের জন্য বায়তুল মোকারম মসজিদের ভেতরে শুট করা দরকার, যেখানে দেখা যাবে হাজার হাজার লোক একসঙ্গে জুমা আদায় করছেন। একটু জোগাড় করে দিতে পারবেন?” সঙ্গে সঙ্গে দেখি ওনারা আমতা আমতা করতে থাকেন।’

এসব কথা বলার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ফারুকী। তিনি বলেন, ‘দয়া করে শুটিংয়ের জন্য সবকিছু উন্মুক্ত করে দেন। একটা ফিল্ম কমিশন গঠন করেন যেখানে লোকেশন সার্ভিস ডেস্ক থাকবে। যার যেখানে শুট করা প্রয়োজন, সেটা উল্লেখ করে ওই কমিশনে আবেদন করবে। সঙ্গে নির্ধারিত ফি-ও জমা দেবে এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের অনুমতি দিয়ে দেয়া হবে। সঙ্গে ধরিয়ে দিতে পারেন লোকেশন স্পেসিক নিয়মকানুন। ব্যস, সব কিছু সুন্দর একটা সিস্টেমে চলে আসল। সারা পৃথিবীতেই এই ফিল্ম কমিশন এবং লোকেশন সার্ভিস ডেস্ক আছে। দয়া করে আমাদের এখানেও এটা চালু করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর