চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৬ জন সদস্যকে পূর্ণ থেকে সহযোগী সদস্য করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। আদেশটি জারি হয় ১১ জানুয়ারি।
সেই আদেশের লিখিত কপি সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার আদেশের কপি নিয়ে এফডিসিতে আসেন দুজন ব্যক্তি এবং কাগজগুলো দিতে চান মিশা সওদাগর এবং জায়েদ খানকে।
হাইকোর্টের আদেশের কপি বহনকারীর সঙ্গে জায়েদের দেখা হলেও কপিটি গ্রহণ করেননি জায়েদ খান। আর মিশা সওদাগর বৃহস্পতিবার এফডিসিতে ছিলেন না।
জায়েদ খান কপিটি গ্রহণ না করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে যান কপি বহনকারী। নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন জানান, তিনি কেবলই নির্বাচন কমিশনার, কিন্তু হাইকোর্টের সেই কপিসংশ্লিষ্ট কেউ না, তাই তিনিও সেটি গ্রহণ করেননি।
কেউ কপিটি গ্রহণ না করায় শিল্পী সমিতির নোটিশ বোর্ডে কপির কাগজ ঝুলিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়।
রাতে সেই কপিটি কারা যেন খুলে নিয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে এফডিসির মধ্যে শিল্পী সমিতিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোটিশ বোর্ডে নেই হাইকোর্টের সেই কপি।
সমিতির অফিস সহকারী জাকির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা কারা খুলে নিয়ে গেছে সেটা আমি জানি না।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।
শিল্পী সমতিরি পূর্ণ থেকে সহযোগী সদস্য হওয়া ১৬ জনের পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমিতির ১৬ জন সদস্যকে কোনো যুক্তি, কারণ ও নোটিশ ছাড়াই পূর্ণ থেকে সহযোগী সদস্য করা হয়েছে। এর ফলে তারা তাদের ভোটাধিকার হারিয়েছেন। এটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে মাননীয় আদালত ১০ দিনের রুল জারি করেছে।’
২০১৮ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৮৪ সদস্যকে পূর্ণ সদস্য থেকে সহযোগী সদস্য করার ঘটনা ঘটে। সেই সদস্যদের মধ্যে থেকে ১৬ জনের জন্য এ আদেশ জারি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মিশা-জায়েদের প্রতিদ্বন্দ্বী কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী রিয়াজ বলেন, ‘তারা (মিশা-জায়েদ) কেন এটি গ্রহণ করছেন না, তা জানি না। নির্বাচন না হলে আমি তাদের গিয়ে অনুরোধ করতে পারতাম বা বলতে পারতাম। এটা গ্রহণ না করা তো আদালত অবমাননার শামিল।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২৮ জানুয়ারি। এতে ভোট দেবেন ৪২৮ জন।