বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিমুর সঙ্গে ২ বছরেও কথা হয়নি: জায়েদ

  •    
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩৭

শিমুর মৃত্যুর খবর শুনে তার একাধিক সহকর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, জায়েদ খানের সঙ্গে নাকি ঝগড়া হয়েছে, বাক-বিতণ্ডা হয়েছে, তুই-তুকারি পর্যন্ত হয়েছে।

রাইমা ইসলাম শিমু সিনেমায় আসেন ১৯৯৮ সালে। বর্তমান নামের সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়। বছর খানেক আগে দেয়া একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে শিমু জানান, তার অভীনিত শেষ সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৪ সালে।

সেই সাক্ষাৎকারে শিমু দাবি করেছিলেন, ২২ থেকে ২৩টি সিনেমার নায়িকা তিনি। অভিনয় করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, কাজী হায়াৎ, চাষী নজরুল ইসলাম, এজে রানা, স্বপন চৌধুরী, শবনম পারভীনসহ আরও অনেকের পরিচালনায়।

এই অভিনেত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে রোববার কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। সোমবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত থাকলেও হাতের আঙুলের ছাপ ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে শিমুর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

পুলিশ বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। এ জন্য প্রাথমিকভাবে তার স্বামীকে দোষারূপ করা হচ্ছে। তবে শিমুর হত্যার পেছনে অনেকে টানছেন চলচ্চিত্র সমিতির নানা প্রসঙ্গও। এর মধ্যে শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনকেও ইস্যু হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ।

শিমুর সহকর্মীদের অনেকের দাবি, আরও অনেকের মতো শিমু শিল্পী সমিতির সদস্যপদ হারান ২০১৮ সালে। সেবার মিশা-জায়েদ প্যানেল ছিল সমিতির নেতৃত্বে। সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব ঘটনার যোগাযোগ থাকতে পারে বলেও অনেকের ধারণা।

শিমুর মৃত্যুর খবর শুনে তার একাধিক সহকর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, জায়েদ খানের সঙ্গে নাকি শিমুর ঝগড়া হয়েছে, বাক-বিতণ্ডা হয়েছে, তুই-তুকারি পর্যন্ত হয়েছে।

এসব কথায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এবং জায়েদ খানের নাম বার বার আসায় প্রশ্ন ও সন্দেহের তীর ছিল তার দিকে।

তবে, এসব অভিযোগ মোটেও গায়ে মাখছেন না শিল্পী সমিতির টানা দুইবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১২ জানুয়ারি আমার সঙ্গে নাকি শিমুর ঝগড়া হয়েছে উল্লেখ করেছেন ফিরোজ শাহী, সাদিয়া মির্জা। এ বিষয়ে বলতে চাই, শিমুর সঙ্গে গত দুই বছরে তো সামনা-সামনি তো দূরের কথা ফোনেও কথা হয়নি।’

তিরি আরও বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে নোংরামি শুরু হয়েছে। এদের কয়েকজনকে কেউ বাসায় গিয়ে বলেছে, আপনারা জায়েদের নাম বলেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা আছেন, তারাই এদেরকে পুঁজি করে এফডিসিতে অরাজকতা করছে।’

২০১৮ সালে মিশা-জায়েদ প্যানেল নেতৃত্বে থাকার সময় ১৮৪ জনের সমিতি সদস্যপদ বাতিল করা হয়। শিমুসহ অনেকের অভিযোগ ছিল, ব্যক্তি আক্রোশের কারণেই তাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জায়েদ খান বলেন, ‘প্রথমত তথ্যটাই ভুল। ১৮৪ জন তো না, এটা হবে ১৩০ থেকে ১৩৫ জন। এটা ২০১৮ সালে করা, উপদেষ্টা কমিটি ও কার্যকরী পরিষদ মিলে করেছিল, তারপর জেনারেল মিটিংয়ে পাস হয়েছে, তারপর আবার নির্বাচন হয়েছে। এখানে অযাচিতভাবে কাউকে বাদ দেয়া হয়নি।’

জায়েদ জানান, যাচাই-বাছাই কমিটিতে ছিলেন সোহেল রানা, ফারুক, আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজ, নিপুণ, রোজিনা, আমি, আমরা সবাই ছিলাম। সবাই বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে সিগনেচার করে সম্মতি জানিয়েছেন।

শিমু হত্যায় নিজের নাম আসাকে প্রতিপক্ষের নির্বাচনি কৌশল বলে মনে করছেন জায়েদ।

এ বিভাগের আরো খবর