অভিনেত্রী মৌসুমী ২০১৯-২১ মেয়াদে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেছিলেন সভাপতি পদে। সেবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে ছিলেন মিশা-জায়েদ খান।
২০২২-২৪ মেয়াদে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলেই যুক্ত হয়েছেন মৌসুমী। কার্যকরী পরিষদের সদস্য হয়ে নির্বাচন করছেন মৌসুমী।
এ নিয়ে নানা রকম কথা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে। বিষয়টি পরিষ্কার করতে ফেসবুক লাইভে আসেন ওমর সানী। এ সময় তার সঙ্গে সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
সানী জানান, মৌসুমীর ২০১৯-২১ মেয়াদ শুধু না, কখনই নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু চলচ্চিত্রের মানুষ হিসেবে তার কিছু দায়িত্ব থাকে। সেই দায়িত্ব এবং সে সময় অনেকে অনুরোধে নির্বাচন করেন মৌসুমী।
সেই মেয়াদে মৌসুমী বিজয়ী হতে পারেননি। তাহলে এখন কেন আবার সেই প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গেই নির্বাচন করছেন জানতে চাইলে সানী বলেন, ‘আমি আর মৌসুমী একটি সিনেমা করতে গেলাম, নাম সোনার চড়। আমরা যখন সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হই, তখন জায়েদের অভিনয় করার কথা না। সে পরে যুক্ত হয়, তার সঙ্গে অনেক কথা হয় এবং তাকে আমরা বুঝতে পারি।’
সানী আরও বলেন, ‘তাছাড়া মৌসুমী গণমাধ্যমে বলেছে, করোনার মধ্যে মিশা-জায়েদের যে কাজ, সেটি প্রশংসার যোগ্য, সেগুলো বিচার করেই মৌসুমী তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে গেছে।’
আগের কিছু কথা স্মৃতিচারণ করে সানী বলেন, ‘২০১৯-২১ মেয়াদে ফেরদৌস, রিয়াজ, সাইমন, পপিদের নিয়েই মৌসুমীর প্যানেল হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু তারা পরে সবাই যার যার মতো করে চলে গেছে। এবার, অর্থাৎ ২০২২-২৪ মেয়াদে যখন তারাই আবার প্যানেল করে, তখন মৌসুমীর কাছে তারা কথা বলতে আসেনি।’
শিল্পী সমিতির নির্বাচন কেন্দ্র করে আরও নানা বিষয় যেমন- এফডিসিতে বহিরাগতদের আনাগোনা, জিততে পারলে প্রার্থীদের সিনেমা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি, জিততে পারলে প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন নিপুণ- এসব কথার সমালোচনা করেন ওমর সানী।