বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আমি তাড়াহুড়ো করতে চাই না’

  • বিনোদন ডেস্ক   
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:০১

দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র জগতে তাকে বলা হয় নতুন ‘লেডি সুপারস্টার’। অভিনয়ের সূক্ষ্মতা, সংলাপ প্রক্ষেপণ, অভিব্যক্তি- সব দিক থেকেই তিনি নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। জাতীয় পুরস্কারের স্বীকৃতি আগেই এসেছে তার ঝুলিতে। এখন লক্ষ্য- বলিউডে নিজের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করা। তিনি কীর্তি সুরেশ। সম্প্রতি ‘এলে ম্যাগাজিন’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয়জীবন, চ্যালেঞ্জ আর বলিউডে নতুন যাত্রা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

এক কালের জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেত্রী মেনেকা ও প্রযোজক সুরেশ কুমারের কন্যা কীর্তির শৈশব কেটেছে বিনোদন দুনিয়াতেই। মাত্র আট বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে পর্দায় প্রথম পা রাখেন। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা- দুই জায়গাতেই ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তবে নায়িকা হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ২০১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ সিনেমায়। সেই সময়েই বোঝা গিয়েছিল, কীর্তির মধ্যে কিছু বিশেষ আছে। কিন্তু তাকে জাতীয় পর্যায়ের আলোচনায় নিয়ে আসে ২০১৮ সালের তেলুগু ছবি ‘মহানতি’।

এই জীবনীভিত্তিক ছবিতে কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কীর্তি। সাবিত্রীর মতো জটিল, বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বকে পর্দায় জীবন্ত করে তোলা সহজ ছিল না, কিন্তু কীর্তি সেটি করেছিলেন অসাধারণ মুনশিয়ানায়। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শক ও সমালোচক উভয়েই। ‘মহানতি’ তাকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং সর্বভারতীয় খ্যাতি। ছবিটি বক্স অফিসেও দারুণ সফল হয়। এরপর তিনি ‘রং দে’, ‘থেরি’, ‘দসারা’র মতো ছবিতে অভিনয় করে নিজের বহুমাত্রিকতা প্রমাণ করেছেন।

দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারে কীর্তি কখনোই নিজেকে একধরনের চরিত্রে সীমাবদ্ধ রাখেননি। কখনো প্রেম, কখনো বেদনা, কখনো আবার অন্তর্দ্বন্দ্ব- প্রতিটি চরিত্রেই নিজের অভিনয় প্রতিভাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে কীর্তি বলেন, ‘মহানত’- এর সাফল্যের পর অনেক জীবনীমূলক ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছি। আমি চাইনি দর্শক আমাকে কেবল একধরনের চরিত্রেই দেখুক। আমার বিশ্বাস, একজন অভিনেত্রীর কাজ হলো নিজেকে বারবার ভাঙা ও নতুন করে গড়া। তাই আমি ঝুঁকি নিতে ভয় পাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই রকম চরিত্রে অভিনয় করলে নিরাপদ থাকা যায়, কিন্তু তাতে বিকাশ ঘটে না। আমি চাই প্রতিটি ছবিতে নিজেকে নতুনভাবে দেখতে, নতুনভাবে প্রমাণ করতে। দর্শক যেন ভাবতে না পারেন- এই চরিত্রে কীর্তি আগেও ছিলেন।’

দক্ষিণ ভারতে একাধিক ভাষায় কাজ করলেও কীর্তির সাম্প্রতিক ফোকাস এখন বলিউড। কারণ তার মতে, ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের পরিসর যত বিস্তৃত হচ্ছে, ভাষার দেয়াল তত ভেঙে যাচ্ছে।’ বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে ‘বেবি জন’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন কীর্তি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কালীস, আর এই কাজের অভিজ্ঞতা তার কাছে ছিল একেবারেই নতুন।

‘বলিউডের পরিবেশে এসে বুঝেছি, এখানকার কাজের ধরন অনেকটা আলাদা,’ বলেন কীর্তি। ‘যে ইন্ডাস্ট্রিতে আমি বড় হয়েছি, সেখানে সময়ের ছন্দ, লোকজনের মনোভাব সবকিছুই একটু ভিন্ন। কিন্তু এই পার্থক্যই আমাকে শিখতে সাহায্য করছে। নতুন মানুষ, নতুন চিন্তা, নতুন সংস্কৃতি- সব মিলিয়ে এটা আমার জন্য এক সুন্দর যাত্রা।’

এ বিভাগের আরো খবর