প্রকাশ পেয়েছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। পরীক্ষা মানেই প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতা মানেই কারও এগিয়ে যাওয়া, কারও পিছিয়ে যাওয়া।
যারা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে, তারা তো স্বাভাবিকভাবেই খুশি। তবে যাদের ফল মনমতো হয়নি বা ভালো হয়নি, তাদের অনেকেরই মন খারাপ। সেই মন খারাপদের সঙ্গ নিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
তার মতে, ‘খারাপ রেজাল্ট কইরা যারা হতাশ হয়ে গেছ, তাদের জন্য আমি আছি। উইল হেল্প ইউ গাইস (তোমাদের সাহায্য করব)।’
চঞ্চল বলেন, ‘আজ যারা জিপিএ ফাইভ পায়নি, আমার ধারণা পড়ালেখার পাশাপাশি তারা অন্য কিছু করত। যেমন খেলাধুলা, গান-বাজনা, ছবি আঁকা, নানা কিছু।’
গোল্ডেন এ প্লাস না পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে চঞ্চল বলেন, ‘সমস্যা নাই এগুলো করেও অনেক খ্যাতি অর্জন করা যায়, প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়।’
তবে যারা মোবাইল ফোনের নেশায় বা অনলাইনে শুধু গেম খেলে, ফেসবুকিংয়ে সময় নষ্ট করে রেজাল্ট খারাপ করেছে, তাদের ভবিষ্যৎ সুবিধার না বলে মনে করেন চঞ্চল।
নিজের উদাহরণ দেন চঞ্চল। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ইন্টারের রেজাল্ট শোনার পর তিন মাস পাগল আছিলাম। সমস্যা নাই আবার ঠিক হয়ে গেছি। আর যারা বইয়ের পোকা ছিলা, শুধু পড়ালেখা করছ, তারাই তো সোনার জিপিএ পাইছ।’
সোনার জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন ও আশীর্বাদ জানিয়েছেন চঞ্চল।
তবে তিনি এও বলেছেন, ‘তোমরা শুধু ভালো রেজাল্ট করে থেমে যেও না। দেশটাকে ভালোবাইসো, দেশের জন্য কিছু কইরো। মনে রাইখো, এর আগে ভালো ভালো রেজাল্ট কইরা হাজার হাজার সোনামনি বিদেশ গেছেগা, আর দেশে ফেরে নাই। ওইসব সোনামনি দিয়া দেশের তেমন কোনো মঙ্গল হয় না।’
চঞ্চল আরও বলেন, ‘আমি তোমাদের দলে ছিলাম। এখন কিন্তু ভালোই করতেছি। সাহস হারাইও না সোনাবঞ্চিত খোকা-খুকুরা।’
দেশ ও পরিবারকে ভালোবেসে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘মনে রাখবা, ভালো ছাত্র হওয়ার চেয়ে ভালো মানুষ হওয়া জরুরি। আমি পাগল সবাইরেই সাহস দিই।’