যুক্তরাষ্ট্রে ডাবিংয়ের কাজ শেষ করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন গলুই সিনেমার পরিচালক এস এ হক অলীক। এফডিসিতে সোমবার রাতে নিউজবাংলার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন সিনেমাটি নিয়ে।
এ সময় তিনি আরও বলেছেন শাকিব খানের যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড আবেদনের বিষয়ে তিনি যা জানেন।
গলুইয়ের ডাবিংয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানে কেন যেতে হলো? কাজ কি শেষ?
হ্যাঁ, কাজ শেষ।
অন্যদের সবার ডাবিংয়ের কাজ হয়ে গিয়েছিল। শুধু হিরোরটাই বাকি ছিল।
আমাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হিরো যুক্তরাষ্ট্রে কবে যাচ্ছে, কবে আসছে সবই আমাদের জানিয়েই করেছে। পরে হিরো জানায় যে তার আসতে দেরি হবে।
হিরো বেশ চিন্তিত হয়ে আমাকে জানায় কীভাবে ডাবিং শেষ করা যায়। তখন সেই প্রস্তাব দেয় ভিডিওটা পাঠিয়ে দিলে ওখানে বসেই ইমনের (ইমন সাহা) স্টুডিওতে নিজে দায়িত্ব নিয়ে ডাবিং করে পাঠিয়ে দেবে।
কিন্তু আমার প্রযোজক (খোরশেদ আলম খসরু) বললেন হিরোর পুরো ডাবিং ডিরেক্টর ছাড়া একটু মুশকিল। আমার ভিসা থাকায় আমি চলে যাই এবং সুন্দর করে কাজটি করে এসেছি।
সবাইকে বলতে চাই, আমাদের মধ্যে কোনো রকম ভুল-বোঝাবুঝি ছিল না।
যখন আপনি শাকিব খানের সঙ্গে ছিলেন, তখন তার সেখানে থাকার ব্যাপারে কিছু শুনেছেন?
ওখানে যাওয়ার পরে শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে আলোচনার মধ্যে শুনেছি যে গ্রিন কার্ডের জন্য অ্যাপ্লাই করেছে। তবে এটা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি আমার সঙ্গে।
কিছু পরিকল্পনার কথা আমি শুনেছি, জানতে পেরেছি। কিছু প্ল্যানিংয়ের কথা আমার সঙ্গে হয়েছে, কিছু প্ল্যানিং শেয়ার করেছে।
রোজার ঈদ টার্গেট করে শাকিব একটা সিনেমা প্রযোজনা করছে, ওখানে শুটিং করবে। এটার প্রোডাকশন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। যেটা আমি দেখেছি যে লোকজন আসা-যাওয়া করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছে, টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে কথা বলছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার জন্য সরকারের পারমিশন খুব জরুরি। আর এসব কারণেই তার গ্রিন কার্ডের জন্য অ্যাপ্লাই করা এবং দেশে আসতে সময় লাগবে।
এমন শুনছি, শাকিব খান তার সন্তানের জন্যও গ্রিন কার্ডের আবেদন করেছেন, বিষয়টা ঠিক কি না?
এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। এ বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে কথাও হয় নাই।
শাকিব খান সেখানে সিনেমা নির্মাণসহ আর কিছু করতে চান কি?
আমেরিকাতে কোনো সিনেমার শুটিং করে সেটি যদি বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া যায় এবং আমেরিকান সিনেমা হিসেবে সারা বিশ্বে মুক্তি দেয়া যায়, তাহলে তো বিশাল ব্যাপার। সেই প্ল্যানটাই বোধ হয় সে করছে।
ঘরের মধ্যে বসে থাকলে তো হয় না, ঘর থেকে বের হয়ে এদিক-সেদিক যেতে হয়। তাহলে নিজেদের কাজের ক্ষেত্রটা বাড়ে। এটাতে সে সফল হলে আমাদের জন্য খুব ভালো সাইন।
এটা যে কেউ করলেই অনেক ভালো, আর শাকিব বাংলাদেশের এক নম্বর হিরো, তার দায়িত্ব আছে, সে দায়িত্বটা ফিল করে স্টার্ট করেছে, সাকসেস হওয়ার চেষ্টা করছে, এটাকে এপ্রিসিয়েট করা উচিত।
আপনি দেশের নির্মাণ জগতের স্টেক হোল্ডার। পুরো বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমোদন আছে, এ ক্ষেত্রে কিছু বলার নেই। বিগত দিনে তো এ রকম অনেক উদাহরণ আছে।
বিষয়টা হলো ছেড়েছুড়ে দিয়ে চলে গেলাম কি না বা গিয়ে আমি কী করলাম। যদি কেউ অন্য কোনো দেশে গিয়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে এ দেশের ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করে তাহলে তো ভালোই।
গলুইয়ের কাজ শেষ হয়েছে বললেন, কবে মুক্তি পাবে?
গলুই সেন্সর হওয়ার পর মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হবে। প্রযোজক কবে মুক্তি দিতে চাইবেন জানি না, তবে আমি চাইব কোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে গলুই মুক্তি পাক।
আপনার যোদ্ধা নামের একটি সিনেমা পাইপলাইনে রয়েছে। সেটার কোনো আপডেট দেবেন কি না?
যোদ্ধার শুটিং করব জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে। অনেক কিছুই লক হয়ে গেছে। গলুই সিনেমাটির খবর আনুষ্ঠানিকভাবে দিতে চেয়েছিলাম, পারিনি, লিক হয়ে গেছে। যোদ্ধা সিনেমার খবরটা আনুষ্ঠানিকভাবে দিতে চাই।