ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান নভেম্বর থেকে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি দুটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ ছাড়া সেখানে একটি সিনেমার শুটিং করে মুক্তিও দেয়ার পরিকল্পনা তার।
তবে সবচেয়ে বড় যে পরিকল্পনা, সেটি হলো ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার। তবে এ ঘোষণা তিনি নিজে দেননি এখনও।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন শাকিব খান। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।
তিনি বলেন, ‘শাকিব গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। এটি পাওয়ার জন্য শাকিবকে বেশ কয়েক মাস থাকতে হবে সেখানে।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেই হয়েছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও খোরশেদ আলম খসরু প্রযোজিত সিনেমা ‘গলুই’-এর ডাবিং। সেখানে রোজার ঈদ পর্যন্ত থাকবেন, সিনেমার শুটিং করবেন, সেই সিনেমা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে মুক্তি দেবেন- এমন পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছেন শাকিব।
শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়াটা সিনেমা অঙ্গনের জন্য ক্ষতিকর- জানতে চাইলে খসরু বলেন, ‘কোনো মানুষের অন্য কোথাও স্থায়ী হওয়ার বিষয়টি একেবারেই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
‘আর আমি শুনেছি যে তিনি বিদেশে থেকেও সিনেমা বানাচ্ছেন। যদি তাই হয়, তিনি যদি সিনেমা দিতে পারেন, তাহলে তো সিনেমার তেমন কোনো সমস্যা দেখছি না।
‘এমন তো অনেকেই আছেন, যাদের দ্বৈত নাগিকরত্ব আছে। শাকিব যদি আমেরিকার নাগরিকত্ব নেন, তাতেই যে তিনি আর কাজ করতে পারবেন না তা তো না।’
গ্রিন কার্ডের মধ্যমে আমেরিকান না হয়েও আমেরিকায় থাকার সুযোগ পাওয়া যায় এবং গ্রিন কার্ড পাওয়া একজন আমেরিকায় পাঁচ বছর অবস্থান করার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
বিষয়টি নিয়ে শাকিব খানের কোনো মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। হিমেল আশরাফের পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সিনেমা প্রযোজনা এবং তাতে অভিনয় করছেন তিনি।