আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার জামিনের এ আদেশ দেয়। রোববার এ বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন মিথিলার আইনজীবী ইমতিয়াজ ফারুক। তার সঙ্গে ছিলেন নিয়াজ মোর্শেদ।
সোমবার আদালতে যান মিথিলা এবং জামিন আদেশের পর কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘মহামান্য আদালত বলেছেন, যে মামলাটি আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেটার আসলে খুব একটা ভিত্তি নেই, বেজটা স্ট্রং না, সে জন্যই কিন্তু আমাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।’
আইনের প্রতি আস্থা রেখে মিথিলা বলেন, ‘আমি আশা করছি যে শিল্পীরা হয়রানির শিকার হবেন না। এখন শুধু না, ভবিষ্যতেও হবেন না। আমি যখন ইভ্যালিতে যুক্ত হয়েছি, তার আগেই ইভ্যালির ৪০ লাখ গ্রাহক ছিল। তারা যেভাবে আস্থা রেখেছে, আমিও কিন্তু সেভাবে আস্থা রেখেছি।’
এখন আরও সতর্ক হয়ে কাজ করবেন জানিয়ে মিথিলা বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমি আরও সতর্ক হয়ে কাজ করব। আমি অসম্ভব রকমের হয়রানির মধ্য দিয়ে গিয়ে যেটি আমি শিখলাম, সেটা হচ্ছে যে আমাদের আর্টিস্টদের সাপোর্ট করার জন্য আইনজীবী নেই মিডিয়ার এসব ইস্যু ডিল করার জন্য। আমাদের প্রপার এজেন্সি নেই, আমাদের ম্যানেজার নেই।
‘এসবের জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। আমি একশর ওপর ব্র্যান্ড এনডোর্স করেছি, দেশের অনেক বড় বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এ রকম একটা হয়রানিমূলক পরিস্থিতির জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না।’
ইভ্যালি নিয়ে মূল্যায়ন জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, ‘সবার যেমন মূল্যায়ন, আমারও তেমনি মূল্যায়ন। সেসব বিষয় নিয়ে আদালতে পর্যালোচনা হচ্ছে।’
ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা ঠিক ছিল, নাকি ভুল ছিল, এখন কী মনে হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, ‘এই হয়রানির মধ্য দিয়ে যাওয়াটা আমি ডিজার্ভ করি না।’