আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে অভিনয়শিল্পী তাহসান রহমান খান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াকে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ৪ ডিসেম্বর প্রতারণার মামলাটি করেন ইভ্যালির গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান। বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাতে জানাজানি হয়।
মামলায় উল্লিখিত তিন তারকা নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর।
তবে এ মামলা নিয়ে একদমই চিন্তিত নন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।
এ নিয়ে শনিবার নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় অভিনেত্রীর। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমার বাসায় বা আমার কাছে কোনো নোটিশ আসেনি এখনও। দেখেন, মামলা হলে নজরদারিতে রাখবে এটাই স্বাভাবিক। আমার ১০০ ভাগ বিশ্বাস আছে পুলিশের ওপর, তারা বেসিকলি ইনভেস্টিগেট করবে, তারা দেখবে যে এটার সঙ্গে একচুয়ালি আমি ইনভলব কিনা। আমি তো এটার সঙ্গে ইনভলব না কোনোভাবেই।’
মামলা নিয়ে চিন্তিত না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘আমি আসলে এটা নিয়ে চিন্তিত না এই জন্য যে, আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট শিওর এটার সঙ্গে কোনোভাবেই আমি ইনভলব না। এক নম্বর বিষয়, আমি মাত্র আড়াই মাস কাজ করেছি। দুই নম্বর বিষয় হচ্ছে, আমি এটাকে কখনও প্রমোট করিই নাই।’
যুক্তি দিয়ে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘যিনি মামলা করেছেন উনি অর্ডার করেছেন মে মাসে আর আমি জয়েন করেছি জুন মাসে। ওই সময়ের সঙ্গে আমার সময়ও মিলছে না। আমি জয়েন করেছি এক মাস পর।’
মামলা মোকাবিলা করার জন্য কোনো পদক্ষেপ শবনম ফারিয়া নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান যদি ঝামেলা করে তার জন্য তো ইমপ্লয়ি দায়ী না। তো আমি এটার কী দায় নেব। এ জন্য আমি কোনো স্টেপও নিইনি। আমি যদি কিছু করে থাকতাম আমি চিন্তিত হতাম, কী হচ্ছে-না হচ্ছে। এটা পুরোপুরি হ্যারেসমেন্ট। আমাদের তিনজনের নাম ব্যবহার করে এখানে হ্যারেসমেন্ট করা হচ্ছে, এ ছাড়া আর কিছুই না।’
বরং যে কেসটা করেছে তার বিরুদ্ধে হ্যারেস করার অভিযোগে মামলা করার সুযোগ আছে বলে মনে করেন শবনম ফারিয়া।