বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩০ সেকেন্ড হলেও প্রধানমন্ত্রীর দেখা চান মাহি

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:২৪

‘ওমরাহ থেকে ফিরেই আমার প্রথম এবং একমাত্র চাওয়া আমি আমাদের সবার অভিভাবক, আমাদের মমতাময়ী মায়ের (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সঙ্গে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখা করতে চাই। অনেক কিছু বলার আছে। এই মনোবাসনা নিয়েই আমি মক্কা ত্যাগ করব। আমার বিশ্বাস এই চাওয়া ব্যর্থ হবে না।’

প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো মুরাদ হাসান ইস্যুতে অনেক কথা জমেছে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। ওমরাহ করতে সৌদি আরবে অবস্থান করা এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ চাইছেন। তিনি মরিয়া হয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যেন ৩০ সেকেন্ড হলেও সময় দেন তাকে।

নারীর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। এরই মধ্যে অভিনয়শিল্পী ইমন ও মাহির সঙ্গে মুরাদের একটি ফোনালাপ রোববার রাতে ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে।

ফোনালাপে মুরাদ হাসানের পুরো বক্তব্যে ছিল অজস্র অশালীন শব্দ।

এসব নিয়ে সোমবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মুরাদ হাসান।

এ নিয়ে চিত্রনায়ক ইমনের বক্তব্য পাওয়া গেলেও মাহির বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে সোমবার রাতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজের বক্তব্য জানান মাহি।

এরপর মঙ্গলবার বিকেলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাহি লেখেন, ‘ওমরাহ থেকে ফিরেই আমার প্রথম এবং একমাত্র চাওয়া আমি আমাদের সবার অভিভাবক, আমাদের মমতাময়ী মায়ের (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সঙ্গে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখা করতে চাই। অনেক কিছু বলার আছে। এই মনোবাসনা নিয়েই আমি মক্কা ত্যাগ করব। আমার বিশ্বাস এই চাওয়া ব্যর্থ হবে না।’

এর আগে সোমবার লাইভে মাহি বলেন, মাহি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি মাহিয়া মাহি। আমি এখন হারাম শরিফে আছি মক্কাতে। সবাই নিশ্চয়ই জানেন যে, আমরা ওমরা পালন করতে এসেছি এবং সেজন্যই তেমন একটা ফোন কল রিসিভ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি তেমন একটা ফোন হাতে রাখছি না। এবাদত করতে এসেছি এবাদতটা ঠিকমতো করতে চাই।

‘আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করছি সেটা হচ্ছে আমি সেদিনও ভীষণ বিব্রত ছিলাম, নিজের আত্মসম্মান বোধে কতটুকু আঘাত লেগেছে সেটা শুধু আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানেন এবং আজকেও ভীষণভাবে বিব্রত।

‘নিজের কাছে নিজে ছোট হয়েছি, দেশবাসীর কাছে আরও একবার ছোট হলাম। কিন্তু আপনারা নিজে থেকে একবার চিন্তা করে দেখবেন যে, এই ভাষার প্রতিউত্তর, এই ব্যবহারের প্রতিউত্তর আমার আসলে কী দেয়া উচিত ছিল। কিছু বলার ভাষা আমার সেদিন ছিল না। আমি সে জন্যই কোনো প্রতিবাদ করিনি। আমার নিজের মতোন করে যেভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত আমি চুপ করে থেকেছি, পাশ কাটিয়ে গেছি।

‘এটা ঠিক দুই বছর আগের একটি ঘটনা ছিল এবং আমি বরাবরের মতোই আল্লাহর কাছে বলেছি, আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি, কোনো না কোনো দিন সেই রেজাল্টটা তিনি পাবেন এবং তিনি পেয়েছেন। এটা প্রমাণিত। আলহামদুলিল্লাহ।’

এ বিভাগের আরো খবর