তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, অভিনয়শিল্পী ইমন ও মাহির কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ রোববার রাত থেকে ছড়িয়ে গেছে অনলাইনে। সোমবার সকালে অভিনেতা ইমন নিউজবাংলার কাছে স্বীকার করেছেন অডিওটি আসল।
ফোনালাপে শোনা গেছে, প্রতিমন্ত্রী কথা বলছেন চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে। মুরাদ হাসানের পুরো বক্তব্যে ছিল অজস্র অশালীন শব্দ।
এ বিষয়ে মাহির কোনো মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না। কারণ তিনি তার স্বামীকে নিয়ে ওমরাহ পালন করতে গেছেন সৌদি আরবে।
সোমবার রাতে সৌদি আরবেই একটি ভিডিও করে তিনি নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। ভিডিওটি তিনি পোস্ট করেছের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।
মাহি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি মাহিয়া মাহি। আমি এখন হারাম শরিফে আছি মক্কাতে। সবাই নিশ্চয়ই জানেন যে, আমরা ওমরা পালন করতে এসেছি এবং সেজন্যই তেমন একটা ফোন কল রিসিভ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি তেমন একটা ফোন হাতে রাখছি না। এবাদত করতে এসেছি এবাদতটা ঠিকমতো করতে চাই।
‘আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করছি সেটা হচ্ছে আমি সেদিনও ভীষণ বিব্রত ছিলাম, নিজের আত্মসম্মান বোধে কতটুকু আঘাত লেগেছে সেটা শুধু আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানেন এবং আজকেও ভীষণভাবে বিব্রত।
‘নিজের কাছে নিজে ছোট হয়েছি, দেশবাসীর কাছে আরও একবার ছোট হলাম। কিন্তু আপনারা নিজে থেকে একবার চিন্তা করে দেখবেন যে, এই ভাষার প্রতিউত্তর, এই ব্যবহারের প্রতিউত্তর আমার আসলে কী দেয়া উচিত ছিল। কিছু বলার ভাষা আমার সেদিন ছিল না। আমি সে জন্যই কোনো প্রতিবাদ করিনি। আমার নিজের মতোন করে যেভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত আমি চুপ করে থেকেছি, পাশ কাটিয়ে গেছি।
‘এটা ঠিক দুই বছর আগের একটি ঘটনা ছিল এবং আমি বরাবরের মতোই আল্লাহর কাছে বলেছি, আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি, কোনো না কোনো দিন সেই রেজাল্টটা তিনি পাবেন এবং তিনি পেয়েছেন। এটা প্রমাণিত। আলহামদুলিল্লাহ।’
তুমুল সমালোচিত প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে মঙ্গলবারের মধ্যে পদ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সৌদিতে করা ভিডিওতে মাহি কালো বোরখা এবং কালো মাস্ক পরে ছিলেন। সাংবাদিকদের ফোন ধরতে পারছেন না বলেই তিনি ভিডিওটি করেছেন বলে জানান। সবাইকে নিজেদের অবস্থান থেকে মাহির ব্যাপারটা চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মাহি বলেন, ‘আল্লাহ সাক্ষী, আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি পরিস্থিতির শিকার।’