শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে প্রতীক্ষিত সিনেমা মিশন এক্সট্রিম। মুক্তির আগের দিন রাতে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় সিনেমাটির প্রিমিয়ার।
সেই অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবি-পায়জামা, কাঁধে চাদর ও মাথায় বঙ্গবন্ধু লেখা টুপি পরে এসেছিলেন সিনেমাটির নায়ক আরিফিন শুভ। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় একাত্তরকে ইংরেজিতে সেভেনটি ওয়ান ও বায়ান্নকে ফিফটি টু বলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
সেসব সমালোচনার উত্তর দিয়েছেন শুভ। এ অভিনেতা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মূলত এসব ঘটনার পেছনের গল্প বলতে চেয়েছেন।
পরনের কাপড় নিয়ে ব্যাখ্যায় এই অভিনেতা বলেন, ‘মিশন এক্সট্রিম সিনেমার প্রিমিয়ারে আমার পরনের কাপড় নিয়ে অনেকের প্রশ্ন, অনেকের কটূক্তি, অনেক মন্তব্য, অনেক কথা, অনেক জল্পনাকল্পনা। এ বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে সিনেমার শুটিং হয় ইন্ডিয়ায়। মাঝখানের সময়ে রায়হান রাফি পরিচালিত আরেকটা কাজ করে তারপর আবার পুরোপুরি ঢুকে গেলাম বঙ্গবন্ধু সিনেমায়।
‘সেদিন যারা অসংখ্য ধরনের মন্তব্য করেছেন, তাদের প্রতিও আমি নতজানু, মন থেকে ভালোবাসি তাদের। তারা হয়তো আমার মুখের দুটি শব্দ শুনেছেন, কিন্তু পেছনের গল্পটা জানেন না। বঙ্গবন্ধুর শুটিং চলাকালীন পুরোটা সময় আমার গায়ে যে কাপড় দেখেছেন, এটা আমার একটা ছোট্ট প্রয়াস। আমি অফস্ক্রিনেও এই কাপড়টি পরে থাকি, চরিত্রটাতে বসবাস করার জন্য। এখানে কোনো আহামরি কোনো কিছু নেই। ব্যক্তিগতভাবে, একজন শিল্পী হিসেবে, মানুষ হিসেবে যেন চরিত্রের মধ্যে বসবাস করতে পারি।’
শুভ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শুটিংয়ের প্রথম দিকে আমি মাথায় কিছু পরতাম না, কিন্তু মাঝখানে আমি মাথায় কিছু না কিছু পরে থাকি। এর কারণ বলব না, বললে আমার জন্য একটি সন্তানের ক্ষতি হবে এবং তার নাম নূর। একটা ছোট্ট সারপ্রাইজ আছে।
‘সেদিন বঙ্গবন্ধুর শুটিং চলছিল। সেট থেকে আমি মিশন এক্সট্রিমের প্রিমিয়ারে যাই। স্বাভাবিকভাবে যে কপড়টি পরে গিয়েছিলাম, সেটা পরে যেতে চাইনি। পোশাকটির নিচের যে অংশ তার সঙ্গে কী পরব, তাই সেটি পরা। আর ৭ মার্চের ভাষণের শুটিং হচ্ছিল। যারা সেই দৃশ্যে অংশ নিয়েছিলেন তাদের মাথায় যে টুপিটি ছিল, আমার মাথায় আপনারা সেই টুপিটি দেখেছেন।
এরপর আরিফিন শুভ কথা বলেন ইংরেজিতে ফিফটি টু, সেভেনটি ওয়ান বলা প্রসঙ্গে। বঙ্গবন্ধু সিনেমার স্ক্রিপ্ট দেখিয়ে জানান, অনেক দিন ধরে তার ইংরেজিতে স্ক্রিপ্ট পড়তে হচ্ছে। তাই ইংরেজিটা বেশি চলে আসে।
তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে অসংখ্য মানুষের অসংখ্য কথা, সেটার প্রতি উত্তরে বলছি ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। আমি বলেছিলাম, যারা দেশকে ভালোবাসেন, যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন, বাংলাকে ভালোবাসেন, ফিফটি টুকে শ্রদ্ধা করেন, সেভেনটি ওয়ানকে ভালোবাসেন, তারা সিনেমাটি দেখবেন। কারণ মিশন এক্সট্রিম সিনেমাটি আমার কাছে দেশপ্রেমের একটি গল্প। দ্বিতীয় পার্ট দেখলে আরও স্পষ্ট হবে। সেখানে বায়ান্নকে ফিফটি টু, একাত্তরকে সেভেনটি ওয়ান বলা অন্যায় হয়ে থাকলে ক্ষমা চাচ্ছি।’
শুভ বলেন, ‘সেভেনটি ওয়ানকে তো সেভেনটি থ্রি বলিনি, ফিফটি টুকে তো ফিফটি থ্রি বলিনি। তারপরও অপরাধ হয়ে থাকলে আমায় ক্ষমা করে দেবেন।’