প্রতীক্ষিত সিনেমা মিশন এক্সট্রিম মুক্তি পেয়েছে। দেশের ৫০টি সিনেমাহলসহ চার মহাদেশের বেশ কটি সিনেমা হলে একই দিনে মিশন এক্সট্রিম দেখতে পারছেন দর্শকরা।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, তথ্যসচিব মকবুল হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলামসহ সিনেমার কলাকুশলীরা।
সিনেমাটি মুক্তির কথা ছিল ২০২০ সালের কোনো এক ঈদে কিন্তু করোনার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। প্রতীক্ষার পর সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে।
এর অনুভূতি জানাতে গিয়ে আরিফিন শুভ বলেন, ‘করোনার জন্য বসে থাকলে হবে না, করোনায় সুরক্ষা পেতে সরকারি নির্দেশনা পালনের মাধ্যমে করোনাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
আরিফিন শুভ। ছবি: নিউজবাংলাপ্রিমিয়ারে আরিফিন শুভ এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের সেট থেকে। তাই তার পরনে ছিল পায়জামা-পাঞ্জাবি, মাথায় পরা টুপিতে লেখা ছিল বঙ্গবন্ধু। সিনেমায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানের চরিত্রে অভিনয় করছেন।
শুভ বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে শারীরিক এবং মানসিক কষ্টের কাজ হচ্ছে মিশন এক্সট্রিম। সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই চাইব যেন দেশের অবস্থা ভালো থাকে। এটা কষ্টের যে, দেশে এখন সেই পরিমাণ হল নাই। আমাদের যেটুকু আছে, সেটুকু নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।’
সিনেমাটি দর্শকদের কেমন লাগবে জানতে চাইলে, শুভ বলেন, ‘সেটা তো আগামীকাল (শুক্রবার) থেকেই বোঝা যাবে। তবে এটা বলেতে পারি যে, আমি যতটুকুই কাজ করি, চেষ্টা করি সততা নিয়ে কাজ করতে। পকেট ভরার জন্য অসংখ্য কাজ করি না। অসংখ্য কাজ করে ইন্ডাস্ট্রির কোনো লাভ হবে না।’
দর্শকদের কাছে শুভ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘মিশন এক্সট্রিম সিনেমার জন্য এত পরিশ্রম না করলে কি মিশন এক্সট্রিম হতো না? হতো। করেছি শুধুমাত্র একটাই কারণে, মুখে বড় বড় কথা বলার চেয়ে, আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক মুখে বলার থেকে একবার করে দেখালাম যে আন্তর্জাতিক মানে কি, সংজ্ঞাসহ উদাহরণসহ। আমাদের সামর্থ অনুযায়ী, আমাদের বাজেট, আমাদের টেকনিক্যাল রিসোর্সেস আপনারা সবাই জানেন, আমাদের কি আছে কি নেই, সেই জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করেছি।’
সানী সানোয়ার। ছবি: নিউজবাংলাসিনেমার অন্যতম পরিচালক, প্রযোজক ও কাহিনিকার সানী সানোয়ার বলেন, ‘শেষ দশ দিন দর্শকদের মধ্যে আমরা এক ধরনের উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি। অনলাইন-অফলাইনে যে কথা হচ্ছে সেখান থেকেই আমরা এ ধারনা করছি। আমরা আশা করছি যে সিনেমার একটা উত্তরণের পথ হয়তো আমরা পাব। চলচ্চিত্রপাড়া সরগরম হওয়ার সম্ভাবনা হয়তো দেখা দেবে। যদি এটা দর্শকদের ভালো লাগে তাহলে চমৎকার একটা সূচনা হয়তো হবে আমাদের। আশা করছি সিনেমাটি ভাল লাগবে এবং খুব সুখবর বয়ে আনবে সবার জন্য।
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। ছবি: নিউজবাংলাএ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হলেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। তিনি বলেন, ‘এতক্ষণ ভালোই ছিলাম কিন্তু এখন এত ক্যামেরা দেখে ভয় লাগছে। অনেকদিন পর সিনেমাটি বড় পর্দায় দেখা যাবে। আমার ওপর চাপ কম না। তবে আমার ডেডিউ হিসেবে মিশন এক্সট্রিম সিনেমার চেয়ে ভালো সিনেমায় হয়তো আমি আর পেতাম না।’
সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন মাজনুন মিজান, তাসকিন, সুমিত সেনগুপ্ত, সাদিয়া নাবিলা, শতাব্দী ওয়াদুদ, লায়লা হাসান, মনোজ প্রামনিক, অপুসহ অনেকে।