নোনা জলের সঙ্গে যে জীবন জড়িয়ে আছে, সেই জীবনের গল্প নিয়ে সিনেমা নোনাজলের কাব্য। সে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাজনীতি, সামাজিকতা, ধর্ম ও সংস্কৃতিও আছে সিনেমার গল্পে।
সিনেমার প্রধান পুরুষ চরিত্র রুদ্র একজন ভাস্কর। যিনি সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের একটি জনপদে গিয়ে থাকা শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে দেখতে ও বুঝতে থাকেন সেই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা।
সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এলাকার চেয়ারম্যান, কিছু জেলে এবং সেই জেলেদের মধ্যে থাকা একটি পরিবারের মেয়ে টুনি। এসব চরিত্রের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে সেখানকার জীবনযাত্রা, ধর্মবিশ্বাস, সামাজিকতা এবং রাজনীতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস শোয়ের আয়োজন করে সিনেমাসংশ্লিষ্টরা। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত।
তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে এ জনপদের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হই এবং ধীরে ধীরে তাদের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করি। এ সিনেমার মাধ্যমে অনেক কিছুই আমি তুলে আনার চেষ্টা করেছি।’
পরিচালকের দাবি, সিনেমায় জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
সুমিত বলেন, ‘জেলেজীবনের মাধ্যমে সাগরের নানা রূপসহ বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে আমি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সেই ঘটনাগুলো জানতে চাইলে সিনেমাটি দেখতে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে নারী স্বাধীনতা, বিজ্ঞান ও অধর্মের বিরোধ দেখানোর চেষ্টা ছিল আমার।’
শুক্রবার থেকে সিনেমাটি রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, শ্যামলীসহ নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় প্রদর্শিত হবে ।
সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া ও তাসনোভা তামান্না।