বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এবার দিল্লি বিধানসভা থেকে সমন পাঠানো হলো বলিউডের ‘বিতর্কের রানি’ কঙ্গনা রানাউতের কাছে।
ভারতের কৃষি আইন বাতিলের পর সম্প্রতি অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্ট ঘিরেই শুরু এ বিপত্তি। গত ২০ নভেম্বর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা কৃষকদের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। সেখানে তিনি শিখ ধর্মাবলম্বীদের ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী’ বলে আখ্যা দেন।
কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা আজ সরকারের হাত মচকে দিল, কিন্তু ভুললে চলবে না, একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী এদের জুতোর নিচে পিষে দিয়েছিল; দেশকে টুকরো হতে দেননি তিনি। তার মৃত্যুর এত বছর পরেও তার নামে ভয় পায় এরা (শিখ)। এদের জন্য এমনই গুরু দরকার।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, শিখ সম্প্রদায়কে নিয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি বিধানসভার শান্তি ও সম্প্রীতি কমিটি ডেকে পাঠিয়েছে কঙ্গনাকে। সেই কমিটির প্রধান আম আদমি পার্টির বিধায়ক রাঘব চাড্ডা।
তিনি জানান, অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী ৬ ডিসেম্বর তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ‘অভিনেত্রী বলেছেন, ইন্দিরা গান্ধী শিখ সম্প্রদায়কে পায়ের তলায় পিষে দিয়েছিলেন, যা ভীষণ অপমানজনক এবং তা গোটা বিশ্বের শিখদের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।’
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এর আগে মুম্বাইয়ের খার থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ (এ) ধারায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন অমরজিৎ সিং সাঁধু নামের এক ব্যক্তি।
এ ছাড়া কৃষি আইন বাতিল নিয়ে ওই একই পোস্টে ভারতকে ‘জেহাদি দেশ’ বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। এর জেরে একাধিক এফআইআরও হয়েছে তার নামে।