বেশ কিছুদিন ধরেই রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে মাঠে আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি।
এবার খালেদার বিদেশে চিকিৎসার পক্ষে কথা বললেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
এ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
তসলিমা লেখেন, ‘খালেদা জিয়ার সরকার ১৯৯৪ সালে লোকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছি এই অভিযোগ করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আমার লেখা লজ্জা, উতল হাওয়া, ক, সেইসব অন্ধকার, একে একে নিষিদ্ধ করেছিল। ছলে বলে কৌশলে আমাকে দেশ থেকে বের করেছিল। দেশে আর প্রবেশ করতে দেয়নি।
‘তারপরও আমি চাই খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চায় শুভাকাঙ্ক্ষীরা, নিয়ে যাক। তারপরও আমি চাই তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’
এদিকে বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে দলীয় প্রধানের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল। ডাক্তার সাহেব মনিটরিং করছেন। তারা তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
সরকারের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুচিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সরকার গত তিন বছরে তাকে (খালেদা জিয়াকে) কোনো চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, সরকার গণতন্ত্রকে হরণ করার জন্য এ ক্যারিশম্যাটিক নেত্রীকে বন্দি করে রেখেছে।’
১৩ নভেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হওয়ায় পরের দিন ভোরে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।