বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসান আজিজুল ‘উন্নত চিন্তার যুগের প্রতিনিধি’

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:০৪

আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের পঞ্চাশের দশকের প্রধান লেখকরা সবাই চলে গেলেন। ষাটের দশকের প্রধান লেখকরাও চলে যাওয়া শুরু করেছেন। তারপর কিন্তু ৭০ দশক থেকে আমাদের আমি মনে করব, সাহিত্যের মানটা নিম্নগামী হয়েছিল। মানে আমাদের শ্রেষ্ঠ লেখকরা চলে গেছেন।

রাজশাহীতে নিজ বাসায় ১৫ নভেম্বর মৃত্যু হয় দুই বাংলার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের। তার প্রয়াণের মধ্য দিয়ে একটা যুগের অবসান হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

কেউ কেউ আবার বলছেন, হাসান আজিজুল বাংলা সাহিত্যে ক্লাসিক্যাল বা ধ্রুপদি যুগের সর্বশেষ সাহিত্যিক। এ নিয়ে সমকালীন লেখক-সাহিত্যিকদের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।

তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শহীদুল জহির, সৈয়দ শামসুল হক এবং সবশেষ হাসান আজিজুল হকের বিদায়ে একটা যুগের অবসান হয়েছে কি না। এই শূন্যতাকে কীভাবে দেখছেন?’

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘নাহ ক্ল্যাসিক যুগ বলা যাবে না। এটা তিনি (হাসান আজিজুল হক) কখনো বলেনও নাই। এগুলো আমরা মনগড়া কিছু শ্রেণীকরণ করে ফেলি। এটা তো ঠিক না। যেটা উনি করতেন সেটা জীবনঘনিষ্ঠ, জীবননিষ্ঠ সাহিত্যের চর্চা করতেন এবং যে সমস্ত মানুষ, যাদেরকে আমরা নিচুতলার বলি, তাদেরকে তাদের সম্পর্কে তার গভীর একটা মমত্ববোধ ছিল।

‘এ দেশের সংস্কৃতি, এ দেশের ভাষা, এ দেশের ইতিহাস, যদিও তিনি জন্মগতভাবে পশ্চিমবঙ্গের, তার ভাষার ভেতরে সেই টান রয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশকে তিনি অসম্ভব ভালোবাসতেন। মানুষের প্রতি তার একটা ভালোবাসা ছিল এবং তার সাহিত্যে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, কিন্তু সাহিত্যে তিনি কোনো শ্রেণিবিভাগ করেননি। কারণ যে মুহূর্তে আমি বলছি ক্ল্যাসিক, তখন একটা মনগড়া শ্রেণি আমি গড়ে ফেলছি। তার সঙ্গে শ্রেণি, শিক্ষা এসবই জড়িত হয়ে যায়। এগুলো তিনি কখনো আমলে নিতেন না।’

হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে অন্য লেখকদের রচনাশৈলীর পার্থক্য তুলে ধরে মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যেটা বলতে পারি যে, শহীদুল জহির একদমই আলাদা সাহিত্য লিখতেন। তারা প্রত্যেকে আলাদা লিখতেন। আবদুল মান্নান সৈয়দ আলাদা লিখতেন। তাকেও মনে করা উচিত আমাদের। হাসান আজিজুল হক যেটা লিখতেন সেটা হচ্ছে, তিনি ইতিহাসকে নিয়ে খুব ভাবতেন, বিশেষ করে দেশ বিভাগের পর যে গভীর কিছু বিষাদ মানুষকে স্পর্শ করেছিল, যেটাকে আমরা বলি ট্র্যাজেডি, বিচ্ছিন্নতা, মানুষে মানুষে হানাহানি, মানে এক ধরনের সমাজের দুষ্টু ক্ষতটা বেরিয়ে এসেছিল। যেটা পরে আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি আরও বেশি উসকে দিয়েছিল।

‘এ বিষয়গুলো তাকে খুব পীড়িত করত। তো তিনি খোলা মনে লিখতেন, মানুষের নৈতিক-নান্দনিক অবস্থা পরিবর্তনের তাগিদ দিতেন। ব্যক্তির মূল্য, তা তিনি তার লেখালেখিতে তুলে ধরতেন। আর ইতিহাসের ক্ষতগুলো সারিয়ে তুলে মানুষ যেন ইতিহাস থেকে একটা শিক্ষা নেয়। আর সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের পুনরুজ্জীবনের জন্য মানুষকে সঞ্জীবিত রাখার জন্য একটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, সক্রিয়তার ক্ষেত্র। সেটা যেন কখনো অপসংস্কৃতি হয়ে না দাঁড়ায়, সেই বিষয়গুলো উনি অনেক যত্ন নিয়ে লিখতেন। সে জন্য তার মতো লেখক খুব প্রয়োজন। এ জন্য যে সমাজটা খুবই জটিল হচ্ছে।’

হাসান আজিজুল হকের চিন্তা টিকিয়ে রাখতে সমকালীন লেখক-সাহিত্যিকদের কিছু করণীয় আছে বলে মনে করেন সৈয়দ মনজুরুল।

তিনি বলেন, ‘হানাহানি বাড়ছে, মতবাদ উগ্র থেকে উগ্রতর হচ্ছে আর সংস্কৃতির ক্ষেত্রটা ক্রমশই সংকুচিত হচ্ছে। এই বিষয়গুলো যদি আমরা হতে দিই, তাহলে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, সেটা আর দেখানো হবে না। তাকে কোনো বিশেষ শ্রেণিতে না রেখে আমরা বলি তিনি মানুষের জন্য লিখতেন। খুব উন্নত জীবনের আশা করতেন মানুষের। উন্নত জীবন মানে বৈষয়িক দৃষ্টিতে না, উন্নত জীবন মানে সাংস্কৃতিক এবং চিন্তাচেতনাগত, সেটা তিনি চাইতেন।

‘এটা যদি আমরা করতে দিই, হতে দিই, সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখি, সংস্কৃতি থেকে প্রেরণা নিই এবং নিম্নবর্গীয় বলে যারা অবহেলিত, তাদের জীবনের দিকে দৃষ্টি দিই, সাহিত্যকে জীবনের অংশ করে ফেলি, বই পড়ার চর্চাটা বাড়াই, তাহলে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। এগুলোই তিনি বলতেন। এগুলো ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। সে অর্থে তিনি সেই যুগের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত ছিলেন উন্নত চিন্তার, পরিশ্রমের, সহমর্মিতার, সহনশীলতার। এটাই ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে।’

আনিসুল হক

কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘৫০-৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা একই সঙ্গে এর জনক ও সন্তান। যেমন: কবি শামসুর রাহমান। উনি বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, আবার বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনের ফলে পূর্ববঙ্গে যে নতুন একটা আধুনিকতা তৈরি হলো সেটার সন্তানও কিন্তু। তারা সেই সুফলটা ভোগও করলেন। ৫২ সাল তৈরিও করেছেন এরা, এর মধ্য দিয়ে যে একটা লেখকশ্রেণি তৈরি হলো, এরা হলেন তারা।

‘সেই ব্যাচটা পুরোটা চলে গেছে। সেটা ধরেন সৈয়দ শামসুল হকই বলেন, শহীদ কাদরী, শামসুর রাহমান, আল-মাহমুদ ওই একটা ব্যাচ যেটা ৫২ সালের ফসল যারা ছিলেন, তারা চলে গেছেন। পরের ব্যাচ হচ্ছে ষাটের দশক। হাসান আজিজুল হক অনেক সিনিয়র, উনি পঞ্চাশের দশকেরই।’

তিনি বলেন, ‘ষাটের দশকের হচ্ছেন নির্মলেন্দু গুণ। এটা হচ্ছে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নেতৃত্বে একটা আন্দোলন হয়েছিল। সেখানে ছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। শহীদুল জহির আরও অনেক পরে। শহীদুল জহির মোটামুটি স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বাংলা ভাষায় নতুন সাহিত্যিক হয় নাই বললেই চলে, সেখানে আমাদের একজন পাওয়া গিয়েছিল, সেটা হচ্ছে শহীদুল জহির।

‘কাজেই তিনজন তিন জেনারেশন একচুয়ালি। কাজেই আপনি যে মিলটা পাচ্ছেন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর হাসান আজিজুল হকের, তাদের সঙ্গে ছিলেন শওকত আলী। তারা লেখক শিবির… বাংলাদেশে যারা বামপন্থি কথাসাহিত্যিক ছিলেন, সেই ঘরানার আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর হাসান আজিজুল হক। সে জন্য এই নাম দুটো একসঙ্গে উচ্চারণ করা হয়। যাই হোক, আমাদের যুগাবসানটা… আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বেশ আগেই মারা গেছেন, খুব অল্প বয়সে মারা গেছেন। তার অল্প বয়সে মারা যাওয়াটা গ্রেট লস। কারণ উনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বড় একটা উপন্যাসের কাজ শুরু করেছিলেন। ওটা তিনি শেষ করতে পারলেন না, সেটা গ্রেট লস।

‘শহীদুল জহিরও খুবই অল্প বয়সে মারা গেছেন এবং বাংলাদেশে উত্তরাধুনিক যেটা একটু জাদুবাস্তবতা মেলানো লেখা, নতুন ধারার প্রবর্তন করতে আরম্ভ করেছিল, ওটাও একটা গ্রেট লস। যেকোনো চলে যাওয়াও লস, কিন্তু এদের মধ্যে আমার মনে হয় হাসান আজিজুল হক আবার খুব শিল্প। ওনার মধ্যে শিল্পিতা ছিল, উনি যদিও বামপন্থি, যদিও লেখক শিবির, কিন্তু ওনার লেখার মধ্যে সৌন্দর্য এবং মানুষের কথা…ফর্মুলার লেখক না। আমার মনে হয় যে, আমাদের বড় প্রধান লেখক ছিলেন। সবাই শেষ হয়ে গেলেন। আনিসুজ্জামান স্যার মারা গেলেন। এখন আমি চোখের সামনে দেখি নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার। অল্প কজন বেঁচে আছেন।’

লেখকদের প্রয়াণ নিয়ে আনিসুল বলেন, ‘আমাদের পঞ্চাশের দশকের প্রধান লেখকরা সবাই চলে গেলেন। ষাটের দশকের প্রধান লেখকরাও চলে যাওয়া শুরু করেছেন। তারপর কিন্তু ৭০ দশক থেকে আমাদের আমি মনে করব, সাহিত্যের মানটা নিম্নগামী হয়েছিল। মানে আমাদের শ্রেষ্ঠ লেখকরা চলে গেছেন।

‘ফলে একটা বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে তাই। ওই আগের জমানার আরেকজন আছেন, সেটা সেলিনা আপা, সেলিনা হোসেন। ভাষা আন্দোলনের জনক এবং সন্তান যারা ছিলেন, যারা আমাদের সাহিত্যের উজ্জ্বল প্রতিনিধি ছিলেন, তারা সবাই চলে গেলেন।’

শাহীন আখতার

কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতার বলেন, ‘লেখকের মৃত্যু মানে মুছে যাওয়া নয়। তার সৃষ্টিকর্ম পেছনে রয়ে যায়, পরবর্তী লেখকের জন্য পাঠকের জন্য। সে অর্থে শূন্যতা তৈরি হয়, তা বলা যাবে না, তবে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শহীদুল জহির অসময়ে চলে গেছেন। অপার সম্ভাবনাময়, অতুলনীয় দুজন সাহিত্যিক। আরও অসংখ্য ভালো লেখা আমরা তাদের কাছ থেকে পেতে পারতাম। তাদের প্রস্থান সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি।

‘শ্রদ্ধেয় হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ শামসুল হক যথেষ্ট সাহিত্যকর্ম রেখে গেছেন। হাসান স্যারের ছোটগল্পগুলো তো ম্যাজিক মনে হয়। এমন গল্প কমই লেখা হয়েছে। সৈয়দ হক তো সব্যসাচী, সর্বত্রগামী। যে বয়সের মৃত্যুই হোক, তা বেদনার, কষ্টের। সে শূন্যতা আরেকজন এসে ভরতে পারবে না। আমি মনে করি, লেখকের লেখা পড়াই তার প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশের উপায়। সাড়ম্বরে শোক প্রকাশের চেয়ে বই পড়াটা আমি নিশ্চিত যে, প্রয়াত লেখকেরা তা চাইতেন।’

শাহনাজ মুন্নী

লেখক শাহনাজ মুন্নী বলেন, ‘আমরা তো হারাবই, কেউ তো সারা জীবন থাকবে না। এটা গ্রহণ করতেই হবে। সব সময় একটা যুগ শেষ হয়; আরেকটা যুগ আসে। সেটা সাহিত্য কেন, সব ক্ষেত্রেই সত্য। ওনারা যখন শুরু করেছিলেন সেই পঞ্চাশ-চল্লিশের দশকে, তার পর থেকে দীর্ঘ সময় ওনারা বাংলা সাহিত্যকে, বাংলা ভাষাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন। এখন নতুন প্রজন্ম, তার পরের প্রজন্ম সেই দায়িত্ব নেবে।

‘তাদের যে ক্ষমতা, তাদের যে নিষ্ঠা, তাদের যে সাধনা, সেটা দিয়ে সেই জায়গাটা নিতে হবে। এখন ভাবতে পারি যে, যে মানের সাহিত্যকর্ম তারা করে গেছেন…তারা তো আসলে ক্ল্যাসিক যুগের লোক ছিলেন, একেবারেই ধ্রুপদি যুগের। সেই মানের সাহিত্যচর্চা আমরা করছি কি না বা আমাদের যারা আছেন বেঁচে, তারা সেই জায়গাটা দখল করতে পারবে কি না বা সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবে কি না, সে রকম একটা প্রশ্ন হতে পারে।’

পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব নিয়ে শাহনাজ মুন্নি বলেন, ‘আমি বলব যে, তারপরের প্রজন্মের যারা আছেন, তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং ওই রিলে রেসের মতো একজনের হাত থেকে মশালটা আরেকজনের হাতে যাচ্ছে। এখন কে কতখানি অন্ধকার দূর করতে পারছেন, সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে।

‘কারণ যে সময়ে ওনারা লিখেছেন সেই সময় তো আর নাই, অনেক পালটে গেছে। এখন মানুষের জীবনে যোগাযোগ বেড়েছে, মানুষের বিনোদনের হাজারটা মাধ্যম বেড়েছে, যেগুলো আগের দিনে ছিল না। তার মধ্যে সাহিত্য টিকে আছে তার মতো করে।’

এ প্রজন্মের প্রবণতা নিয়ে শাহনাজ মুন্নি বলেন, ‘এখন হয়তো কাগজের বই ছেড়ে মানুষ ডিজিটাল বুক পড়ার দিকে যাচ্ছে। তারপর মানুষের জীবন অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছে। তারা লম্বা উপন্যাস পড়ে কি না, তারা কাগজের বই পড়ে কি না, এ রকম অনেক প্রশ্ন আসছে। আসলে আমি যেটা করি যে, মানবজীবনটাই এ রকম। মানবসভ্যতাটাই এ রকম। এক অবস্থা থেকে আমরা আরেক অবস্থার দিকে যাচ্ছি।’

সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে এ লেখক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে যাচ্ছি। আমরা সমাজের একটা র‍্যাডিক্যাল পরিবর্তন, একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। তার মধ্যেও সাহিত্য আছে। সাহিত্য একটা চিরন্তন জিনিস।

‘সেটি থাকবে, যুগ পরম্পরাই থাকবে এবং যারা এর মধ্যে ভালো লিখবেন, তারা টিকবেন। যারা সাধনা করে যাবেন, তারা হয়তো পূর্বসূরিদের পথ ধরে এগিয়ে যাবেন এবং এটি চলমান থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর