নিউ ইয়র্কে শাকিব খান নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান সেখানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সেই অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে নতুন সিনেমা করার ঘোষণা দেন তিনি। সিনেমাটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ।
শাকিব খান অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই, আমরা অনেক বড় একটা পরিকল্পনা করেছি। আমাদের দেশের একটি সিনেমা হবে, যেখানে থাকবে দেশি-বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলী। যদি কোভিড না হতো তাহলে এতদিনে সেটি এখানে দৃশ্যায়িত হয়ে মুক্তিও পেয়ে যেত। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। সিনেমাটির পরিচালক হিমেল আশরাফও আছেন এখানে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা আমাদের সমস্ত বাংলাদেশি ভাইবোনদের নিয়ে এখানকার বড় বড় থিয়েটারে রেগুলার সিনেমা রিলিজ হবে। আমরা রেগুলার প্রিমিয়ার শো-তে আসব।’
এ বিষয়ে পরিচালক হিমেল আশরাফও স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন। নিউজবাংলাকে পরিচালক জানান, ‘আমি যতটুকু জানানোর তা আমার স্ট্যাটাসে জানিয়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু এখন আর বলা সম্ভব না।’
হিমেল আশরাফ স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আজ (সোমবার) নিউ ইয়র্কে শাকিব খান নতুন যেই সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন তার গল্প, সংলাপ এবং চিত্রনাট্য আমার লেখা, নির্মাণও আমার করার কথা। সিনেমার নাম এখনও অনির্ধারিত। এই সিনেমার ৭০ ভাগ চিত্রায়িত হবে নিউ ইয়র্ক, ফ্লোরিডা, লাস ভেগাস এবং হলিউডে। ৩০ ভাগ বাংলাদেশে। আগামী বছরে এসকে ফিল্মসের ব্যানারে এই সিনেমা নির্মিত হবে।’
হিমেল এসকে ফিল্মসের প্রিয়তমা নামের একটি সিনেমা পরিচালনা করছেন। তার আপডেট জানিয়ে হিমেল লেখেন, ‘২০১৭ সালে এসকে ফিল্মস থেকে প্রিয়তমা নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়। প্রথমে শাকিব খানের ব্যস্ত শিডিউলজনিত কারণে সিনেমার কাজ শুরু হতে দেরি হয়। এরপর ২০১৮ সালে আমি স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস শুরু করার কারণে একবার এবং ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিডের কারণে দুইবার প্রিয়তমা সিনেমার কাজ শুরু করার চেষ্টা করেও পেছাতে হয়।
‘২০২২ সালে কোনো এক সময়ে প্রিয়তমা সিনেমার শুটিং শুরু হবে। কিন্তু সেটা ঠিক কখন, কে প্রধান অভিনেত্রী, কবে মুক্তি সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না।’
প্রিয়তমা, নাম চূড়ান্ত না হওয়া সিনেমার বাইরেও এসকে ফিল্মসের প্রযোজনায় হিমেল আশরাফ আরও একটি সিনেমা নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানান তিনি। যার গল্প, সংলাপ এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন ফেরারী ফরহাদ। নাম মায়া।
শেষে হিমেল আশরাফ লেখেন, ‘এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই যে, আমার মতো নবীন, অনভিজ্ঞ এক নির্মাতার ওপর বাংলাদেশ সিনেমার সবচেয়ে বড় এবং ব্যস্ত তারকা, অভিনেতা শাকিব খান এবং প্রযোজক শাকিব খান যে আস্থা রেখেছেন তা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। এখানে ব্যর্থ হলে সেটা শুধু আমার জন্য ক্ষতি না, পুরো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ব্যবসাসফল ভালো সিনেমা নির্মাণের।’