দিল সে, শোলে, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে, জব উই মেট, বরফি এমন অনেক হিন্দিসহ ভারতীয় নানা ভাষার অসংখ্য সিনেমার শুটিং হয়েছে ট্রেনে।
ট্রেনে যে এত শুটিং চলে, তার জন্য কেমন খরচ করতে হয় নির্মাতাদের, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দেয়। কী হিসেবে সেটা নির্ধারণ করে ভারতীয় রেল?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সবশেষ ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে রেলের পক্ষ থেকে শুটিং ভাড়া ঠিক করা হয়। সেই হিসেবে প্রতিদিন সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ হয় ৪ দশমিক ৪৭ লাখ রুপি। যেটা এর আগে ছিল দৈনিক ২ দশমিক ৩১ লাখ রুপি।
সর্বনিম্ন সেই হিসেবে ‘ফিল্ম স্পেশাল ট্রেন’ পাওয়া যায়। যার সঙ্গে থাকে চারটি সাধারণ বগি ও একটি এসএলআর (সিটিং কাম লাগেজ ভ্যান)।
শুটিংয়ের জন্য ট্রেনটিকে সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার নিয়ে যাওয়া যায়। সব মিলিয়ে এই খরচ ধরা হলেও এখানে নানা ভাগ রয়েছে।
ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা থেকে পরিবহন সবকিছুর জন্যই খরচ গুনতে হয় নির্মাতাদের। এ ছাড়া প্যান্ট্রি কার (ট্রেনেই যুক্ত বিভিন্ন রকমের খাবারের রেস্তোরাঁ) আলাদা করে ভাড়া নেয়া যায়।
শুটিংয়ের সময় ইঞ্জিন থেকে বগি দাঁড় করিয়ে রাখার জন্যও আলাদা খরচ আছে।
প্রতিটি বগির নিরাপত্তা বাবদ ৫০ হাজার রুপি করে দিতে হয়। যেটা সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৫ লাখ। এর ওপরে রয়েছে পরিষেবা কর এবং খালি ট্রেন নিয়ে যাওয়ার খরচ।
এ ছাড়া পাহাড়ি এলাকায় ন্যারো গেজ লাইনে শুটিংয়ের জন্য অতিরিক্ত ২০ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়। আবার এসি ফার্স্ট ক্লাস বগি নিলে তার জন্য অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৭ শতাংশ রুপি দিতে হয়।
এসবের বাইরেও কোনো স্টেশনে শুটিং করতে অনুমতি ফি দিতে হয়। এর পরিমাণ আবার শহর অনুযায়ী আলাদা। এ-ওয়ান এবং এ ক্যাটাগরি শহরের জন্য এক লাখ, বি-ওয়ান, বি ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে ৫০ হাজার ও বাকি ক্ষেত্রে ২৫ হাজার রুপি।
শুটিংয়ের প্রয়োজনে রেলের কোনো সম্পত্তি সরানো লাগলে তার জন্য দিতে হয় ৩০ হাজার রুপি। সব মিলিয়ে এক দিনের শুটিং করতে রেলকে দিতে হয় মোট ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৪৫ রুপি।