দেশে চলমান সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা। রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখা এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, সহনশীল হওয়ার দিন শেষ।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে এক বিশ্রী অনুভূতির মধ্যে বসবাস করছি। গ্লানি, দুঃখ, ক্ষোভ সব কিছু মিলেমিশে একাকার।’
সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে যেন কালো একটা পর্দা পরে গেল বলে মনে করেন সুবর্ণা।
তিনি লেখেন, ‘৩০ লাখ শহীদ আর তিন লাখ নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগকে অসম্মানিত হতে দেখলাম। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলাকে ধর্মের ধুয়াধারীরা কলুষিত করতে উদ্গ্রীব।’
কিন্তু আর না, সুবর্ণা মনে করেন নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে হবে। দেশকে এই কুচক্রীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে।
তাই তিনি লেখেন, ‘যারা ষড়যন্ত্র করে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদের বলছি- বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ।’
অপরাধীদের উদ্দেশ করে সুবর্ণা লেখেন, ‘বাংলাদেশ এখন পুরোটাই ডিজিটাল। তোমরা সবাই চিহ্নিত, তোমাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, আইনের শাসন দিয়েই তোমরা শাস্তি পাবে। সহনশীল হওয়ার দিন শেষ।’
লেখনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরেন সুবর্ণা। লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, মানে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, সব ধর্মের প্রতি সমান সম্মান।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ভেঙে পড়ার ঘটনা উল্লেখ করে সুবর্ণা লেখেন, ‘যখন জগন্নাথ হল ভেঙে পড়ল, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ মানুষ, ডাক্তার, নার্স, সারা দিন সারা রাত সবাই একসঙ্গে উদ্ধারকাজ, রক্ত দেয়া, ওষুধ আনার কাজ করে গেছি। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
সেই বাংলাদেশ ফেরত চেয়ে সুবর্ণার ভাষ্য, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার সৈনিক। আপনি আদেশ করেন। '৭১-এ পারিনি ২০২১-এ দেশের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।’