চলতি সপ্তাহেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলশিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
তবে এ বিষয়ে এখনও লিখিত কোনো নির্দেশনা পায়নি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনও লিখিত কোনো নির্দেশনা পাইনি। লিখিতভাবে জানালে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আশা করছি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাদের জানানো হবে। এরপর আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভাইভারস কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, ‘সক্ষমতা অনুযায়ী সারা দেশের জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহেই আমরা শুরু করতে পারব।
‘আমরা পরিকল্পনা করেছি প্রাথমিকভাবে আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টিকা দেয়ার। তাহলে একসঙ্গে অনেক শিশুকে দিতে পারব। এটা তো চাইলে হবে না, জায়গা পেতে হবে, লোকবলের বিষয় আছে।’
তিনি বলেন, ‘স্কুলশিক্ষার্থীদের তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করবে। তাদের সুরক্ষা সরঞ্জাম প্ল্যাটফর্মে দিয়ে দেব। আমরা টিকা দেয়ার আগে টেস্ট রান করি। ৫০ থেকে ১০০ জনকে দিয়ে টেস্ট করব। তাদের পর্যবেক্ষণ করব। এরপর বড় আকারে দেব। শিশুদের টিকাকেন্দ্র আলাদা হবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।