ঘটনাটি সত্য। ২০০৭ সালে ময়মনসিংহ এলাকায় ঘটেছিল ঘটনাটি। ৯ জন মানুষ ট্রেনে কাটা পড়েছিলেন। পরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এবং বর্ণনায় জানা গেছে এটি ছিল আত্মহত্যা এবং সেই ৯ জনই ছিলেন এক পরিবারের সদস্য।
এ ঘটনা ঘটার পর বেশ কিছু রহস্যজনক তথ্য সবার সামনে আসে। আত্মহত্যা করা ৯ জন কাশর এলাকার মরহুম আদম ফকিরের পরিবারের সদস্য এবং তারা সবাই আদম ধর্ম পালন করতেন বলে জানা যায়।
আত্মহত্যার পর আদম ধর্মের অনুসারী সেই ৯ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় স্থানীয় পুলিশ। সেই সময় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, পুলিশ ঘরের ভেতর থেকে চারটি ডায়েরি পেয়েছিল, যেগুলো ইংরেজি আর বাংলায় লেখা।
একটি ডায়েরিতে লেখা ছিল, ‘আমরা হলাম পৃথিবীতে একমাত্র স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল পরিবার। আমরা মোহাম্মদসহ সকল ধর্মের আইনের বাহিরে। আমাদের পিতা আদম প্রতি রাতেই আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।’
প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না বলেও জানিয়েছিলেন এলাকাবাসী।
কেন এমন হয়েছিল? কী কারণে তারা সবাই আত্মহত্যা করলেন? এসব নানা প্রশ্ন রেখেই তাদের জীবনের অবসান ঘটে।
এই ঘটনাটা ২০০৭-এর হলেও নির্মাতা ভিকি জাহেদ ঘটনাটি জানতে পারেন ২০১৮ সালে। ভিকির বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক; তার কাছে আত্মহত্যা করা ৯ জনের মানসিক অবস্থার গবেষণাপত্র আসে। সেটি পড়ার পর ভিকির ঘটনাটি নিয়ে আগ্রহ বাড়ে এবং শুরু হয় নির্মাণের পরিকল্পনা।
নিউজবাংলাকে ভিকি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে নির্মাণের একটি বড় গবেষণা হলো সেই গবেষণাপত্রটি। এ ছাড়া পরিবারের যে ডায়েরি পাওয়া গেছে, সেটিও আমাদের কাজে অনেক সাহায্য করেছে।’
ভিকি আরও বলেন, ‘এখানে ধর্মের একটি বিষয় আছে। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করব এমনভাবে চিত্রনাট্য ও সংলাপ রাখার, যেন কারও ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত না লাগে।’
ভিকি যে কাজটি করছেন, তা জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি। ভিকি লিখেছেন, ‘স্ক্রিপ্টের কাজ ইতিমধ্যে শেষ। আমরা অল্প কিছুদিনের মধ্যে শুটিংয়ে যাব। বাকি ডিটেইলস সময় হলে জানিয়ে দেয়া হবে।’
নিউজবাংলাকে ভিকি জানান, অনেক দিন আগেই কাজটি করতে চেয়েছিলেন ভিকি কিন্তু যাদের কাছে পিচ করেছিলেন তারা প্রযোজনা করতে চাননি।
এখন সুযোগ পেয়েছেন কাজটি করার কিন্তু এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা মানা আছে তার। তাই এটি কী ধরনের কনটেন্ট হবে, কারা অভিনয় করবেন তার কিছুই জানানটি ভিকি জাহেদ।