বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরীক্ষা নিয়ে জটিলতায় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ তোরসা

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৪৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। সে সময় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন তোরসা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রী ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৯’ রাফা নানজিবা তোরসা। মিস ওয়ার্ল্ডে অংশগ্রহণের কারণে যথাসময়ে অ্যাকাডেমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি নিয়েছিলেন তোরসা। এরপরও বিভাগের অ্যাকাডেমি সিদ্ধান্তের জটিলতায় আটকে গেছে তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। সে সময় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন তোরসা।

অ্যাকাডেমিক কমিটি অনুমতি দেবে না জেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সুপারিশক্রমে বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ পান তোরসা। কিন্তু অ্যাকাডেমিক সিদ্ধান্তক্রমে পরীক্ষা দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিভাগ কর্তৃপক্ষ। আর দ্বিতীয় বর্ষের নিয়মিত পরীক্ষায় অংশ না নিলে ছাত্রত্বও হারাবে বলে জানানো হয়েছে।

তোরসা বলেন, ‘আমি মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগে বিভাগের স্যারদের সাথে কথা বলি। তখনকার চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন আহম্মদ স্যার আমাকে বলেন, আমাদের অ্যাকাডেমিক কমিটি স্পেশাল পরীক্ষার অনুমতি দেন না।

‘আপনি যদি উপাচার্য থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে পারেন, আমরা স্পেশাল পরীক্ষা নিতে বাধ্য। তখন তিনি আমার পরীক্ষার জন্য রিকমেন্ড করে আবেদনটা উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করেন। আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি ম্যাম আমাকে স্পেশাল পরীক্ষার অনুমতি দিলেন।’

তোরসার অভিযোগ, ‘উপাচার্য অনুমতি দেয়ার পরও বিভাগ তাকে স্পেশাল পরীক্ষার সুযোগ না দিয়ে এক বছর ড্রপ দিতে বলছে। এক দিনের নোটিশে হঠাৎ ৫ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় বর্ষ নিয়মিত ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে বলেছে। যদিও এর মধ্যে ফরম ফিলাপের ডেটও শেষ হয়ে গেছে।

‘এদিকে বলছে অ্যাকাডেমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেউ স্পেশাল পরীক্ষা দিতে পারবে না। কিন্তু আমি দেখছি মাস্টার্সের দুজন শিক্ষার্থী প্রথম ও তৃতীয় বর্ষের স্পেশাল পরীক্ষা দিয়েছে। তাহলে আমি কেন পারব না?’

তোরসা বলেন, ‘বিশেষ পরীক্ষার অনুমোদন থাকায় নভেম্বরে হতে যাওয়া তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে বিভাগটির বর্তমান সভাপতি ২৯ সেপ্টেম্বর অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তের বরাতে আমাকে এক বছর ড্রপ দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন। সেই হিসেবে ৫ অক্টোবরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই পরীক্ষায় অংশ না নিলে আমি ড্রপ আউট হিসেবে বিবেচিত হব।’

বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সুজিত কুমার দত্ত বলেন, ‘সে (তোরসা) স্পেশাল পরীক্ষার জন্য আবেদন করে, কিন্তু সেই স্পেশাল পরীক্ষা দেয়ার যে আবেদন, সেটির অ্যাকাডেমিক কমিটি থেকে অনুমোদন ছিল না। এ পরিস্থিতিতে তোরসা ছাড়া আরও দুজনের জন্য অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেশাল পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কিন্তু গত মিটিংয়ে আরেকটি এজেন্ডা ছিল। চতুর্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী যে দুই বছর পরীক্ষা দিতে পারেনি, তার বিষয়ে মানবিক কারণে স্পেশাল পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ তাকে যদি এখন পরীক্ষা দিতে দেয়া না হয়, তাহলে তার ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

‘মানবিক কারণ দেখে আমরা তার স্পেশাল পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তোরসার পরীক্ষা না নিলে তার এক বছর লস হবে, কিন্তু ছাত্রত্ব বাতিল হবে না।’

সুজিত জানান, অন্যদের বিশেষ বিবেচনায় পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তার চেয়ারম্যান হওয়ার আগে। বিষয়টির অনুমোদনও ছিল তার পদে আসার আগে। অ্যাকাডেমিক কমিটির স্পেশাল না নেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও মানবিক বিবেচনায় স্পেশাল পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়।

উপাচার্যের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা দিতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘উপাচার্য অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু অ্যাকাডেমিক কমিটিতে আগের চেয়ারম্যান এটি এজেন্ডাভুক্ত না করায় অনুমোদন হয়নি। তাই তার (তোরসা) স্পেশাল পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে ৫ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সে অ্যাপ্লাইও করেছে। ডিপার্টমেন্ট গতকালই এটি ফরোয়ার্ড করেছে।’

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন আহম্মদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি তার।

এ বিভাগের আরো খবর