মরণোত্তর দেহদানের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। গত বুধবার ৭২ বছর বয়সি এ শিল্পী দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সই করেন। বৃহস্পতিবার সেই অঙ্গীকারপত্রের ছবি নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন তিনি।
খবরটি দুই বাংলার সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশ পায়। সুমনের দাবি, সে সংবাদে বাংলাদেশের সংবাদকর্মীরা তাকে ‘জীবনমুখী গানের শিল্পী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শিল্পী শনিবার তার ফেসবুকে করা পোস্টে এমন দাবি করেন।
ভিডিওর ক্যাপশনে সুমন লেখেন, ‘বাঙালি মিডিয়াকর্মীদের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ, আমার বাবা-মা, আমার গুরুদের দোহাই, বাংলা ভাষা, বাংলা গানের দোহাই, আমাকে জীবনমুখী গায়ক বলবেন না।
‘বিশেষ করে বাংলাদেশের মিডিয়াকর্মীদের প্রতি এই সনির্বন্ধ অনুরোধ। তারা প্রায় সব সময় আমার নামের আগে এই কথা প্রয়োগ করে থাকেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মহান শিল্পী শ্রীযুক্ত নচিকেতা চক্রবর্তীর গানের ক্যাসেটে ওই কথাটি ছিল, থাকত: জীবনমুখী বাংলা গান বা গান। আমার গানের কোনো অ্যালবামে ওই কথাটি ছিল না; থাকে না। দয়া করে আমার নামের আগে ওই কথাগুলি লিখবেন না। দয়া করে।’
ভিডিওতে সুমন জানান, তিনি সব সময় আধুনিক বাংলা গান নিয়ে কাজ করে এসেছেন। আর এখন বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করছেন।