গত বছরের নভেম্বরে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন স্বনামধন্য গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার।
সেই মামলায় এখন পর্যন্ত একবারও শুনানির সময় আদালতে হাজিরা দেননি কঙ্গনা।
এই পরিস্থিতিতে গত ২৭ জুলাই মামলার শুনানিতে অভিনেত্রীকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে মুম্বাইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সেই নির্দেশে বলা হয়, তিনি যাতে কোনো রকম অজুহাত না দেখিয়ে আগামী শুনানিতে অবশ্যই উপস্থিত থাকেন। যদি উপস্থিত না হন, তবে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করারও হুঁশিয়ারি দেয় আদালত।
তবে মামলার শুনানিতে শারীরিক উপস্থিতির ব্যতিক্রম চেয়ে আদালতে আবেদন করেন অভিনেত্রীর আইনজীবী।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, সেই আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার আদালত বলেছে, ‘আগামী শুনানিতে কঙ্গনা রানাউত অনুপস্থিত থাকলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে।’
যদিও আদালতের হুঁশিয়ারির জবাবে অভিনেত্রীর আইনজীবী বলেন, ‘তার মক্কেলের শরীর ভালো নয় এবং কোভিড উপসর্গ ধরা পড়েছে।’ সেই দাবির সপক্ষে একটি মেডিক্যাল নথিও জমা দেন তিনি।
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত
তবে আদালত অভিনেত্রীর শারীরিক উপস্থিতির বিষয়টিতে অনড়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর।
জাভেদ আখতারের অভিযোগ, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কঙ্গনা তার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। গত বছর ১৯ জুলাই টেলিভিশনে কঙ্গনার একটি সাক্ষাৎকার দেখে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কোনো রকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি না জেনেই আপত্তিকর মন্তব্য ও আক্রমণ শুরু করেন।
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত
জাভেদ আখতারের দাবি, কঙ্গনার এই ধরনের বক্তব্যের ফলে নানা হুমকি বার্তা ও টেলিফোন পেয়েছেন তিনি।
আর এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জাভেদ আখতার।