পুরোনো ক্যাসেট, সিডি, ভিসিডিতে প্রকাশিত ও সম্প্রচারিত গানের রয়্যালিটির বিভাজনবিষয়ক সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
৫ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা রেজিস্টার অফ কপিরাইট জাফর রাজা চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পুরোনো ক্যাসেট, সিডি, ভিসিডিতে প্রকাশিত ও সম্প্রচারিত গানের রয়্যালিটির বিভাজন সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের ২২ মার্চ ২০২১ তারিখের সভায় নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
‘যে সকল পুরোনো গান পূর্বে কেবল সিডি/ভিসিডি ও ক্যাসেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল এবং সংশ্লিষ্ট লেবেল কোম্পানিকে নতুন করে অর্থ বিনিয়োগ কিংবা গীতিকার, সুরকার বা কণ্ঠশিল্পীকে পুনরায় কোনো মেধা বা শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়নি, এরূপ পুরোনো গানের ক্ষেত্রে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী এবং লেবেল কোম্পানি প্রত্যেক পক্ষ ২৫% হারে রয়্যালিটি পাবেন মর্মে বোর্ড সভার সকল সদস্য কর্তৃক একমত প্রকাশ করা হয়।’
রয়্যালিটি বিভাজনের ক্ষেত্রে উল্লিখিত হার অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে কপিরাইট অফিসের পক্ষ থেকে।
এ বিষয় নিয়ে রেজিস্টার অফ কপিরাইট জাফর রাজা চৌধুরীর সঙ্গে গত মে মাসে কথা হয়েছিল নিউজবাংলার।
উদাহরণ দিয়ে বলেছিলেন, ‘যদি এক মাসে কোনো গান থেকে ১০ ডলার আয় হয়, তাহলে সবাই আড়াই ডলার করে পাবেন। আবার কেউ যদি মনে করেন, তিনি এভাবে অপেক্ষা করে টাকা নেবেন না, তিনি এককালীন একটা টাকা নিয়ে নেবেন, সংশ্লিষ্টরা রাজি থাকলে সেটাও তিনি নিয়ে নিতে পারবেন।’
কপিরাইট অফিসের চিঠি ফেসবুকে পোস্ট করে নিজের মতামত জানিয়েছেন সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী জয় শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, ‘এই প্রজ্ঞাপনের সুফল আমাদের প্রজন্ম হয়তো সেভাবে পাবে না, তবে আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের গীতিকবি, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পীরা আজ থেকে তাদের অধিকার চাইতে পারবেন একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে যাদের প্রকাশিত কাজগুলোর ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশনের অ্যাগ্রিমেন্ট নেই।’
এই নির্দেশনা বিরাট অর্জন উল্লেখ করে জয় আরও বলেন, ‘এমনি এমনি দয়াপরবশ হয়ে কেউ এটা করে দেয়নি। বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরে শিল্পীদের রয়্যালটি বিভাজন সম্পর্কিত এটাই প্রথম সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন।’
সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের মাধ্যমে তিন সংগীতসংশ্লিষ্ট সংগঠনের পেশকৃত ১৮ দফা প্রস্তাবের অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান জয়।