তিনি বাংলাদেশের গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিন। তার গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানের নাম বলে শেষ করা যাবে না।
১৯৫৪ সালের আজকের দিনে সাবিনার জন্ম। সিনেমার গান শুরু ১৩ বছর বয়স থেকে। শনিবার তার ৬৭তম জন্মদিন। ৬৭ থেকে ১৩ বছর বাদ দিলে হয় ৫৪ বছর। এত বছর ধরে তিনি গানের যে ভান্ডার তৈরি করেছেন, তা এখন দেশের গৌরব।
একি সোনার আলোয়, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান, এই মন তোমাকে দিলাম, তুমি আমার মনের মাঝি, সে যে কেন এলো না, অনেক সাধনার পরে আমিসহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে তার কণ্ঠে। ১৪ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
সিনেমার গান ছাড়াও তিনি দেশাত্মবোধক, ধ্রুপদী, লোকসংগীত ও আধুনিক বাংলা গান গেয়েছেন। পেয়েছেন একুশে ও স্বাধীনতা পদক।
সাবিনা দেশের সব প্রখ্যাত সুরকারের সঙ্গেই কাজ করেছেন। গেয়েছেন আর. ডি. বর্মণের সুরে। কিশোর কুমারের ও মান্না দের সঙ্গেও দ্বৈত গান আছে সাবিনার। ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে ‘ডক্টরেট’ লাভ করেন তিনি।
দেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকার বাসাতে রাখা হয়েছে কিছু আয়োজন।
সাবিনা ইয়াসমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) আমার কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব আসবেন। আমার মেয়ে আসবে। বাড়িতেই আছি।’
রাত ১২টা ১ মিনিটে কোনো আয়োজন ছিল কি না, জানতে চাইলে সাবিনা জানান, কোনো আয়োজন ছিল না, কারণ তিনি ১২টা পর্যন্ত জেগে থাকেন না।
দেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। ছবি: সংগৃহীত
ভক্ত-শ্রোতাদের উদ্দেশে সাবিনা বলেন, ‘বাংলা গান শোনেন, ভালো ভালো গান শোনেন, এটাই আমার বলার। আর কিছু না। সবাইকে শুভেচ্ছা, ভালো থাকুক সবাই, বাংলা গান শুনুক।’
এখনকার গান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে গান-বাজনা কোথায়, গান-বাজনা তো শেষ। গান বলতে কি গান আছে, আমাদের তো গান বলতে কিছুই নাই। এগুলোকে কি গান বলে? এখন যেগুলো হয়। এগুলো গাওয়ার চেয়ে না গেয়ে বাড়িতে বসে থাকা ভালো।’
গত সপ্তাহেই একটি রেকর্ডিং ছিল বলে জানান সাবিনা ইয়াসমিন।