অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় পরবর্তী সময়ে উত্তম কুমার। কলকাতার পোর্টে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু সে জীবন আগায়নি।
কারণ সিনেমা যে করতে হবে। চাকরিও হলো না, গ্র্যাজুয়েশনটাও হলো না। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলেন চলচ্চিত্র জগতে।
তাকে বলা হয় ‘মহানায়ক’। কিন্তু এই আখ্যা পেতে তার কী পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়েছে তা তিনিই জানেন। মানসিক নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব পেরিয়ে তিনি হয়েছেন উত্তম কুমার।
এসবের কিছুটা আঁচ করা যায় নায়ক সিনেমায়। পাড়ার অভিনেতা থেকে অরিন্দমের নায়ক হওয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে উত্তম অভিনয় করতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেকে।
এর আগেই তিনি অনেক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তবে উত্তম কুমার নিজেকে প্রমাণ করেন এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সিনেমায় অভিনয় করে। কারণ সিনেমাটিতে উত্তম কুমার তার পরিচিত ইমেজ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছিলেন এবং সফলও হয়েছিলেন।
মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা জান উপমহাদেশের অন্যতম সেরা এই অভিনেতা। ১৯২৬ সালে আজকের দিনে জন্ম, মৃত্যু ১৯৮০-তে।
তার বয়স যখন ২৭, তখন মুক্তি পায় সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমা। এটি ছিল উত্তমের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এ সিনেমার পর আর ২৬ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন উত্তম। তাতেই ইতিহাস হয়ে গেছেন; হয়ে গেছেন অতুলনীয়-অনুসরণীয়।
শুক্রবার তার ৯৫তম জন্মদিন। এত বছর পরও তিনি ফিরে-ফিরে আসেন। নানাভাবে তিনি ফিরে আসেন বাঙালির সামনে। তার সেই হাসি, স্বাভাবিক অভিনয়ের রহস্য খুঁজে ফেরেন অনেকে।
তাই হয়তো উত্তম কুমারকে নিয়ে বায়োপিক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একাধিক বায়োপিক নির্মিত হবে তাকে নিয়ে, যার মধ্যে একটি নির্মাণ করছেন কলকাতার নামকরা পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
তার নির্মিত সিনেমাটির নাম অতিউত্তম। এর পোস্টার শেয়ার করে উত্তমকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৃজিত।
ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘৪ বছরের গবেষণা, ৬২টি সিনেমার ফ্রেম বাই ফ্রেম বারবার দেখা, অসংখ্যবার চিত্রনাট্য লেখা ও পুনরায় লেখা, স্বত্বধারীদের সঙ্গে বারবার কথা বলা, অ্যানিমেশন-ভিএফএক্স নিয়ে কাজ করা, স্বপ্ন এবার সত্যি হলো। শুভ জন্মদিন, আপনি আছেন, এটাই যথেষ্ট।’
অতিউত্তম সিনেমার পোস্টার লেখা ‘উত্তম কুমার অভিনীত’। এ ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনিন্দ্য-রোশনি-গৌরব সিনেমায়।