বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এই গান নিয়ে আমার এক দশকের ঘোর: তূর্য

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ২৩:৩০

তূর্য বলেন, ‘আমাদের মনে যে ভ্রমণের ছবি ভেসে ওঠে, চারপাশের সমস্ত বৈরি পরিবেশ ছাপিয়ে কোলাহলের পরে নিস্তরঙ্গ চাঁদের আলোয়, প্রকৃতির কাছে নিজেকে সঁপে দেয়ার, সেই দ্বান্দ্বিকতা এই গানের উপজীব্য।’

পেশা শিক্ষকতা হলেও মনেপ্রাণে তিনি একজন সংগীতশিল্পী। ছাত্রজীবন থেকেই সংস্কৃতি অঙ্গনের চেনা মুখ। নিজে গান করেন, লেখেন ও সুর করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণার পাশাপাশি সংগীত চর্চা করছেন দীর্ঘকাল ধরে। বলছি সংগীতশিল্পী আজমাইন মুহতাসিম মীর তূর্যের কথা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ইউটিউব ও বৈশ্বিক অনলাইন মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ‘মহুয়ার গান’ শিরোনামে তূর্যের দ্বিতীয় একক আরেকটি গান। যে গানটি এক দশকের বেশি সময় ধরে বন্ধু ও আড্ডার আসরে গেয়েছেন তূর্য।

গানটির কথা লিখেছেন কবি ও সাংবাদিক মামুনুর রশীদ মামুন। সুর করেছেন তূর্য নিজেই।

গানটি প্রসঙ্গে তূর্য বলেন, ‘এই গানটি নিয়ে আমার এক দশক ধরে একটা ঘোর কাজ করে। গানটি ক্যাম্পাসের অগ্রজ মামুনুর রশিদের লেখা। ২০১০ সালে তার স্নাতকোত্তর কোর্সের বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলের জন্য গানটি লিখেছিলেন তিনি। গানটির কথাগুলো এতো মন ছুঁয়েছে যে, গানটি হাতে পাওয়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে সুর করি। তখন থেকেই ইচ্ছে এই গানটি অবশ্যই একদিন রেকর্ড করব, রিলিজ দেব।’

মহুয়ার গানে আধুনিকতা ও রোমান্টিসিজম ফুটে উঠলেও ভ্রমণের রাজনৈতিক অর্থনীতির দৃশ্যপটও সুরে সুরে কানে বাজে।

তুর্য বলেন, ‘আমাদের মনে যে ভ্রমণের ছবি ভেসে ওঠে, চারপাশের সমস্ত বৈরি পরিবেশ ছাপিয়ে কোলাহলের পরে নিস্তরঙ্গ চাঁদের আলোয়, প্রকৃতির কাছে নিজেকে সঁপে দেয়ার, সেই দ্বান্দ্বিকতা এই গানের উপজীব্য।

‘শহুরে জীবনে ব্যস্ততায় যা কিছু আমাদের দম বন্ধ করে তা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলে যেন কল্পনায় এমন এক স্থির শান্ত সময়কেই ভেবে নিই আমরা। যেখানে চাঁদের আলোয় ভেজে গহীনের বন, সাম্পানে ভেসে দেখা পাহাড়ী নদীর রাত, সেই পাহাড় আর নদীর কাছে প্রিয়জনকে পাশে পাবার ব্যাকুলতাও গানে উঠে আসে।’

তুর্যের কথায় জানা গেল, মামুনের লেখা দশটির বেশি গানে সুর দিয়েছেন ও গেয়েছেন তিনি। তাদের মহুয়ার গান, বন্ধুর কাঁধে, তোমার জল টলমল চোখে, কান্নার দিন, প্যালেস্টাইন গানগুলো এখনও চেনা আড্ডায় বেজে ওঠে, মাতিয়ে রাখে সবাইকে।

শৈশবে পারিবারিক পরিসরে গানে হাতেখড়ি তূর্যের। তবে পুরোদমে গানে মন দেন ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর।

সংগীতশিল্পী আজমাইন মুহতাসিম মীর তূর্য। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গানের দল, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে গণসংগীত, বাংলা ও ইংরেজি ফোক, রক গাইতে গাইতেই তূর্যের গাওয়া ও সুর করা বেশ কিছু গান বন্ধু মহলে মুখে মুখে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

২০১৩ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগ দেয়ার পর আরও উচ্চতর ডিগ্রির জন্য দেশের বাইরে থাকায় সাময়িক বিরতি কাটিয়ে আবার গানে ফিরেছেন তূর্য। গত তিন বছর ধরে চারটি গানের প্রজেক্ট চলছে তার। এর মধ্যে দুইটি শেষ হয়েছে, আসছে পাখি ও দূর পাহাড়ে শিরোনামে আরও দুটি গান।

‘ডিসব্যান্ডেড ট্রিজ’ প্রকল্পের আওতাই তূর্যের গাওয়া মহুয়ার গানের সংগীতায়োজন করেছেন ওয়াসি মজুমদার।

বাংলা গানের লিখিত ও অলিখিত ধারা নিয়ে সুবিন্যস্ত কাজ করার প্রত্যয়ে তূর্য জানান, নতুন করে এই গানগুলো করা কখনোই সম্ভব হতো না, যদি না ওয়াসি মজুমদার ও একদল তরুণ এই কাজগুলো গুছিয়ে দিতেন। তাদেরসহ সকল কলাকুশলীর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর