দেশের সিনেমার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এতে অংশ নিতে ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রের প্রযোজকদের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর জন্য চলচ্চিত্রের আবেদনপত্র ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছে ১৫টি সিনেমা। যদি সবগুলো সিনেমা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জমা পড়ে, তাহলে এবার ১৫টি সিনেমার মধ্য থেকেই ২৮টি বিভাগে দেয়া হবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
সিনেমা ১৫টি হলো- জয় নগরের জমিদার, গণ্ডি, বীর, হৃদয় জুড়ে, চল যাই, শাহেনশাহ, হলুদবনি, সাহসী হিরো আলম, ঊনপঞ্চাশ বাতাস, রংবাজি -দ্য লাফাঙ্গা, বায়োগ্রাফি অব নজরুল (প্রামাণ্য চলচ্চিত্র), বিশ্বসুন্দরী, রূপসা নদীর বাঁকে, নবাব এলএলবি, গোর।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকরা আবেদনের ফরম/ছক বিনা মূল্যে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে।
প্রত্যেক আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের যথাযথ মানসম্পন্ন সিডি/ডিভিডি/পেনড্রাইভ জমা দিতে হবে। কোনো সিডি/ডিভিডি/পেনড্রাইভ মানসম্মত না হলে তা বিবেচনা না করার ক্ষমতা জুরি বোর্ডের আছে।
প্রতিটি চলচ্চিত্রের জন্য পৃথকভাবে আবেদনপত্র ও সিডি/ডিভিডি/পেনড্রাইভ জমা দিতে হবে। পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী/কলাকুশলী/ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই জমা দিতে হবে।
অংশগ্রহণকারী প্রযোজকদের তাদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের একটি উন্নতমানের সিডি/ডিভিডি/পেনড্রাইভ এবং নির্ধারিত ছকে প্রযোজক, পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীদের নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বরসহ জীবনবৃত্তান্ত (বাংলায়), চলচ্চিত্রের কাহিনি সংক্ষেপ, গানের কথা ইত্যাদি প্রতিটির ১৫ (পনেরো) সেট ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড ও সদস্যসচিব, জুরি বোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০, তথ্য ভবন (লেভেল ১৩ ও ১৪), ১১২ সার্কিট হাউস রোড, রমনা, ঢাকা ১০০০-এই ঠিকানায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আরও যা শর্ত রয়েছে-
ক) কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন;
(খ) আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে;
(গ) যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলাকুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না;
(ঘ) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, তবে তা ২০২০ সালে সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত হতে হবে;
(ঙ) পুরস্কারযোগ্য প্রতিটি শাখায় গুণগত ও শৈল্পিক মানে শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হবে; (চ) দেশীয় প্রেক্ষাপট, পরিচালকের মৌলিকত্ব ও সৃজনশীলতার স্বাক্ষর বহনকারী চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে;
(ছ) জুরি বোর্ডের বিবেচনার জন্য প্রতিটি নৃত্যের জন্য পৃথকভাবে নৃত্য পরিচালকের নাম উল্লেখ করতে হবে। একইভাবে প্রতিটি গানের (পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন) জন্য পৃথকভাবে গায়ক, গায়িকা, গীতিকার এবং সুরকারের নাম উল্লেখ করতে হবে;
(জ) কাহিনির ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি লেখক/প্রকাশকের অনুমতি (কপিরাইট) নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে; (ঝ) বিদেশি চলচ্চিত্রের কপিরাইট নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং রিমেক (Remake) চলচ্চিত্রের কাহিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না;
(ঐ) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য অংশগ্রহণকারী কোনো চলচ্চিত্রে সেন্সরবিহীন কোনো দৃশ্য সংযোজন এবং সেন্সরকৃত কোনো অংশ বিয়োজন করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে চলচ্চিত্রটি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না;
(ট) সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রধান প্রধান দৃশ্য/সংলাপসংবলিত বিষয়বস্তুর ওপর ৫ মিনিটের (কম/বেশি) ১টি সিডি/ডিভিডি/পেনড্রাইভ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমাকৃত চলচ্চিত্রটির সঙ্গে জমা দিতে হবে। (ঠ) সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের প্রযোজক কর্তৃক যে সকল শিল্পী ও কলাকুশলীদের পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হবে তাদের নাম চলচ্চিত্রের টাইটেলে উল্লেখ থাকতে হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০ সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।