ঈদুল আজহায় প্রচারিত হয়েছিল নাটক ‘আলো’। মেহজাবীন চৌধুরীর রচনায় মাহমুদুর রহমান হিমির পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেন মেহজাবীন চৌধুরী, মনোজ প্রামাণিকসহ অনেকে।
নাটকে মেহজাবীন অভিনয় করেন নারী ট্রাফিক সার্জেন্ট চরিত্রে। কাজ করতে গিয়ে নানান প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। সেসব জয় করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন থাকে তার। সেই স্বপ্নের কী হয়, তা পুরোটা আছে নাটকে।
নারী ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতিকূল পরিবেশের কথা নাটকে তুলে ধরার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ কার্যালয়ে আয়োজনের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয় মেহজাবীন ও পরিচালককে।
এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, ‘যখন এই কাজটি করি, তখন বুঝিনি বাংলাদেশ পুলিশ এই নাটকটি দেখবে এবং সবাই এত পজিটিভ ফিডব্যাক দেবেন। শুধু তাই না, আয়োজন করে যে সম্মান তারা আমাদের আজকে দিলেন, এটা যেকোনো অভিনয়শিল্পী বা নির্মাতার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতার। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ পুলিশের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে পারব, সেটার জন্য এই পুরস্কার অনুপ্রাণিত করবে।’
মেহজাবীন জানান, ২০১৯ সালে গাড়ি নিয়ে জ্যামে আটকে থাকার সময় একটি ঘটনা দেখে ‘আলো’ নাটকের গল্পের প্লট তার মাথায় আসে। তিনি জ্যামে গাড়িতে বসে দেখেন একটু দূরে পিক-আপের ড্রাইভার উচ্চ স্বরে কথা বলছেন একজন নারী সার্জেন্টের সঙ্গে।
পরিচালক মাহমুদুর রহমান হিমি ও মেহজাবীন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবীন লক্ষ করেন, সার্জেন্টটি নারী হওয়ায় পিক-আপচালক তার কথাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। সেই মুহূর্তের ছবিটাও নিজের গাড়িতে বসে তোলেন মেহজাবীন। যার ওপর ভিত্তি করেই ‘আলো’ নাটকটি নির্মিত হয়। যা সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশও পছন্দ করে।
সাম্প্রতিক একটি নাটকে সমালোচিত হওয়া নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য জড়িত সবাই আমরা ক্ষমা চেয়েছি। তবু যারা কষ্ট পেয়েছেন, আমাদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। লক্ষ্য থাকবে, সামনে আরও গুছিয়ে কাজ করার। আমাদের দিক থেকে কোনো ভুল বার্তা যেন সোসাইটি না পায়, সে জন্য সমাজের ইতিবাচক দিকগুলো নাটকে বেশি করে তুলে ধরব। বিশেষ করে স্পেশাল বাচ্চাদের নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেবে, এমন বেশকিছু চিত্রনাট্য তৈরি হচ্ছে। যেগুলোতে আমরা কাজ করব, খুব জলদি সবাই দেখতে পারবেন।’
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ডিএমপি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
আলো নাটকে দেখা যায়, আলো মধ্যবিত্ত শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে। বাবার স্বপ্ন ছিল মেয়ে একদিন পুলিশ হবে। বাবার স্বপ্ন পূরণ হয়।
সারা দিন প্রখর রৌদ্রের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে নানান ধরনের প্রতিকূল পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয় আলোকে। কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি কিন্তু কাজ অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। আরও কিছু সমস্যার সঙ্গে সমস্যা হয় টয়লেট নিয়ে।