বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গল্পটি অনুপ্রাণিত, চরিত্র ও ঘটনা আমাদের তৈরি: আরিয়ান

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ০৯:০৬

‘আমরা যদি বেজড অন বা অবলম্বনে করতাম, তাহলে সব চরিত্র, ঘটনা একই রকম হতে হতো। কিন্তু আমরা ইন্সপায়ার্ড বাই বা অনুপ্রাণিত হয়ে কাজটি করেছি। তাই এখানে সচেতনভাবেই কোনো চরিত্র, ঘটনা বা ঘটনাপ্রবাহের মিল রাখা হয়নি।’

জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মাণ হয়েছে ওয়েব কনটেন্ট নেটওয়ার্কের বাইরে।

বন্ধুত্ব নিয়ে নির্মিত কনটেন্টটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে নিজেদের ভালো লাগার কথা বলেছেন।

তবে সম্প্রতি কনটেন্টটির ‘সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত’ বিষয়টি আহত করেছে কিছু দর্শককে। ‘সত্য ঘটনা’র সম্মুখীন হয়েছেন যারা, তারাই মূলত ফেসবুকে ভিডিও বা লেখার মাধ্যমে আহত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।

তাদের বক্তব্য, যে ‘সত্য ঘটনা’র কথা বলা হচ্ছে (প্রকাশ না করার উদ্দেশ্যে ঘটনার বর্ণনা করা হলো না), সেটি পরিপূর্ণভাবে পরিচালক তুলে আনেননি।

এ বিষয়গুলো নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে মিজানুর রহমান আরিয়ানের সঙ্গে।

নেটওয়ার্কের বাইরে কনটেন্টটির প্রায় সব কিছুই দর্শকদের ভালো লেগেছে। ফেসবুকের লেখায় তেমনটাই পাচ্ছি। তবে ‘সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত’ বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের কষ্টের কথা জানিয়েছেন কিছু দর্শক। বিষয়টি কি আপনার নজরে এসেছে?

হ্যাঁ, এসেছে।

বিষয়টি নিয়ে আপনি কী ব্যাখ্যা দিতে চান? তারা বলতে চাইছেন ‘সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত’ বলার মাধ্যমে আপনি বা আপনারা একটা মার্কেটিং স্টান্ট নিয়েছেন। তাদের দাবি পুরো গল্পটা আপনার কনটেন্টে আসেনি। এটা আরও ভালো কনটেন্ট হতে পারত।

আমাদের সিনেমার গল্প অনেক জায়গা থেকে অনুপ্রাণিত হলেও এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র, সময়, পরিবারের গল্প, ভালোবাসার গল্প- সবকিছু আসলে আমার বা আমাদের মতো করে সাজানো। তাই কেউ যদি মিল খোঁজার চেষ্টা করেন, করতে পারেন, কিন্তু তাদের অনুরোধ করব, সেটা করবেন না। কারণ আমরা সচেতনভাবে এখানে মিল রাখার চেষ্টা করিনি।

আর করবই বা কেন? ইন্সপায়ার্ড বাই বা অনুপ্রাণিত এবং বেজড অন বা অবলম্বনে বিষয় দুটির পার্থক্য তো আমরা সবাই বুঝি।

আমরা যদি বেজড অন বা অবলম্বনে করতাম, তাহলে সব চরিত্র, ঘটনা একই হতে হতো। কিন্তু আমরা ইন্সপায়ার্ড বাই বা অনুপ্রাণিত হয়ে কাজটি করেছি। তাই এখানে সচেতনভাবেই কোনো চরিত্র, ঘটনা বা ঘটনাপ্রবাহের মিল রাখা হয়নি।

যেসব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি, তেমন ঘটনার সংখ্যা অনেক, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাই।

ফেসবুকে যে লেখালেখি, তাতে কেউ বলছেন ঘটনাটি সংগীতশিল্পী আবিদের, কেউ বলছেন আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। বিষয়টি পরিষ্কার করবেন কি না?

এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে গল্পের স্পয়লার চলে আসবে। তবে দর্শকদের আমি অনুরোধ করব, যাদের সঙ্গে কনটেন্টটির চরিত্রের মিল খুঁজছেন দর্শকরা, তাদের সঙ্গে কনটেন্টটির চরিত্রের কোনো মিল নেই।

কারণ চরিত্রগুলোর ডিটেইল যদি সংবাদপত্র থেকে দর্শকরা পড়ে নেন এবং কনটেন্টটির চরিত্রের সঙ্গে মেলান, আমার মনে হয় না তারা কোনো মিল পাবেন।

আর যেসব ঘটনা থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি বলছি, সেসব ঘটনা কিন্তু একটা বা দুইটা বা তিনটা নয়, অনেক রয়েছে। তাই চরিত্রের মিল খোঁজা ঠিক হবে না বলে মনে হয়।

আমি আরেকটি বিষয় বলতে চাই। আমরা গল্পের শুরুতে এবং শেষে খুব সুন্দর করে আমাদের কথাগুলো বলে দিয়েছি। এমনকি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছি।

গল্পটা বন্ধুত্বের। আর এ বিষয়টি আরও দৃঢ় করে ফুটিয়ে তুলতে পারে একমাত্র সংলাপ। এ কনটেন্টের সংলাপের প্রশংসা করেছেন সবাই। তারপরও এটা কি আরও আনন্দদায়ক বা দুষ্টুমিতে ভরা হতে পারত?

হতে পারত অনেক কিছুই। যেকোনো সিনেমাই এর চেয়ে ভালো হতে পারত বা এর চেয়ে খারাপ হতে পারত। আমাদের কাছে এটাই ঠিকঠাক মনে হয়েছে, তাই আমরা এভাবেই কাজটি করেছি।

কনটেন্টের অভিনেত্রীদের সবাই পছন্দ করেছেন। কিন্তু প্রেম-ভালোবাসা ছাড়া তাদের গল্পটা অন্য কোথাও পাওয়া গেল না। আপনার পরিকল্পনাটাই কি ছিল ছেলে-বন্ধুকেন্দ্রিক?

একটা সিনেমায় কত জিনিস দেখানো যায়। একটা সিনেমার মূল একটি বিষয় থাকে। একটা সিনেমায় তো অনেক কিছু দেখাতে পারি না। সিনেমাকে ঘিরে আমাদের যে পরিকল্পনাটি ছিল, সেভাবেই এগিয়েছি।

এ গল্পটাই করবেন, এটা ওটিটিতে মুক্তি পাবে, বিষয়গুলো লক করার গল্পটা শুনতে চাই।

গল্পটা সিনেমার জন্য ভেবেছিলাম, বড় পর্দায় করব ভেবেছিলাম। সেটাও বেশ কিছুদিন আগে। কিন্তু এরপর তো করোনা পরিস্থিতির কারণে সব বন্ধ হয়ে গেল।

রনি ভাই (চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি) আমাকে সিনেমা বানানোর কথা বলেন তার প্ল্যাটফর্মের জন্য। আমাদের একটা মিটিংয়ে অন্য কিছু গল্প নিয়ে কথা হচ্ছিল। হঠাৎ করে রনি ভাই বললেন, তোমার সঙ্গে এর আগে যে সিনেমাটা নিয়ে কথা হয়েছিল, সেটা শুনতে চাই।

আমি বললাম, ওটা তো আমি বড় পর্দায় করব বলে ভেবে রেখেছি।

রনি ভাই তাও শুনতে চাইলেন। আমি শোনালাম। তিনি পছন্দ করলেন এবং সিনেমাটি ওটিটির জন্যই বানানোর জন্য সব কিছু লক হলো।

একটু কি খারাপ লাগা তৈরি হয়েছিল? যেটা বড় পর্দার জন্য ভেবে রেখেছিলেন সেটা ওটিটির জন্য করতে হলো।

রনি ভাই যখন প্রথম প্রিভিউ করেন সিনেমাটির, তখন বলেছিলেন যে এটাই বড় পর্দায় তোমার প্রথম সিনেমা হওয়া উচিত ছিল। তখন একটু খারাপ লেগেছিল।

কিন্তু এখন যখন সবাই লিখছেন যে, এটা বড় পর্দায় বন্ধুদের সঙ্গে বসে দেখতে পারলে ভালো লাগত, তখন আমি কনটেন্টটি বড় পর্দায় দেখানোর ফিল একটু একটু পাচ্ছি। দর্শকের কাছে হয়তো মনে হচ্ছে, এটি বড় পর্দার মতোই হয়েছে। দর্শকদের স্ট্যাটাস আমার মন খারাপ কমিয়ে দিয়েছে।

পরবর্তী কাজ নিয়ে জানতে চাই।

টিভি নাটক করব। আর বছরে দুটি করে সিনেমা করার ঘোষণা দিয়েছি। এরই মধ্যে দুটি গল্প নিয়ে ওটিটির সঙ্গে কথা হয়েছে। গল্প চূড়ান্ত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর