জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে থাকলেও মোহাম্মদ মিঠুন সাইড বেঞ্চে ছিলেন টি-টোয়েন্টি সিরিজে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। মিঠুনকে সাইডবেঞ্চে বসেই উপভোগ করতে হয় দলের জয়। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে রাখা হয়নি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে। অতিরিক্ত খেলোয়াড় হয়ে বাদ পড়তে হয়েছে মিঠুনকে।
টানা দুই সিরিজ বেঞ্চ গরম করলেও জাতীয় দলের নির্বাচকদের অলিখিত ‘বিপদের বন্ধুর’ ভূমিকাটা মোহাম্মদ মিঠুন পালন করে আসছেন ভালোভাবে। যখনই কোনো নিয়মিত খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়েন, বা ব্যক্তিগত কারণে সিরিজ থেকে সরে আসেন, সে সময় ঘাটতি পূরণে ডাক পড়ে এই মিডল অর্ডার ব্যাটারের।
এতোদিন তার দলে থাকা না থাকা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চললেও দলে মিঠুনের ভূমিকা কী তার জবাব পাওয়া গেছে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের কাছ থেকে।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিনহাজুল জানান টি-টোয়েন্টির ভাবনায় আপাতত নেই মিঠুন। মূলত ব্যাকআপ হিসেবে তাকে রাখা হয়েছিল দলে।
তিনি বলেন, 'মিঠুনকে আমরা ওয়ানডে স্কোয়াডে রেখেছি। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে অনেক খেলোয়াড় চলে আসায় ওকে ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হয়েছে। ও তো টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ছিল না। তখন থেকে ওকে টি-টোয়েন্টির ভাবনায় রাখা হয়নি।’
মূলত জাতীয় দলে মিঠুনের ব্যাটিং পজিশনে রয়েছে বেশ প্রতিযোগিতা। মিঠুন যে নম্বরে খেলেন সেই চার বা পাঁচে খেলেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া প্রয়োজনে কখনও উঠিয়ে আনা হয় আফিফ হোসেন বা মোসাদ্দেক সৈকতকে।
মিনহাজুল বলেন, ‘মিঠুন যে পজিশনে ব্যাট করে, সেখানে এখন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে। তারপরও মিঠুন যেহেতু আমাদের পুলের খেলোয়াড়, তাই হারিয়ে যাবে না। সবাইকে নার্সিং করা হবে। যখন দরকার হবে দলে নেওয়া হবে।’
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে মিঠুন খেলেছেন ১৭টি ম্যাচ। এই ১৭ ম্যাচে ১৩ ইনিংস ব্যাটিং করে তার রান ১২৭। অর্ধশত নেই কোনো। সর্বোচ্চ ইনিংস ৪৭ রানের।