লর্ডসে ৫ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের ভালো অবস্থানের দিকে যাচ্ছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দিনশেষে সফরকারী দলের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ২৭৬ রান। ওপেনার কেএল রাহুলের ব্যাট থেকে এসেছে অনবদ্য সেঞ্চুরি।
লর্ডসে মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ পায় ইংল্যান্ড দল। পেশির চোটে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন অভিজ্ঞ পেইসার স্টুয়ার্ড ব্রড। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জো রুট।ইংলিশ অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে ভারতকে চমৎকার সূচনা এনে দেন কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা। দুই জন অবিচ্ছিন্ন থাকেন প্রায় দেড় সেশন।অনায়াসে ব্যাট করে রোহিত তুলে নেন তার ১৩তম টেস্ট ফিফটি। ওপেনিং জুটিতে ১২৬ রান যোগ করে আউট হন রোহিত।৮৩ রান করে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে বোল্ড হন তিনি। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা।রোহিতের বিদায়ের পর উইকেটে বেশিক্ষণ টেকেননি চেতেশ্বর পুজারা। ৯ রান করা এই টেস্ট স্পেশালিস্টকেও বিদায় করেন অ্যান্ডারসন।এরপর তৃতীয় উইকেটে কেএল রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়েন ভিরাট কোহলি। ভারতীয় অধিনায়ককে নিয়ে আরেকটি শতরানের জুটি উপহার দেন রাহুল।একই সঙ্গে নিজে পূর্ণ করেন ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। ২১২ বলে আসে তার শতরান। ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে তুলে নেন ইংল্যান্ডের মাটিতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।এর আগে ২০১৮ সালে ওভালে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। তার ৬টি সেঞ্চুরির ৩টিই এসেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৬ সালে চেন্নাইতেও তার সেঞ্চুরি ছিল ইংলিশদের বিপক্ষে।রাহুল ও কোহলি মিলে ১১৭ রান যোগ করেন তৃতীয় উইকেটে। দলকে নিয়ে যান বড় স্কোরের দিকে। দিনের খেলা ৩২ বল বাকি থাকতে আউট হন কোহলি।৪২ রান করে ওলি রবিনসনের বলে জো রুটের হাতে ক্যাচ দেন ভারতের অধিনায়ক। এ নিয়ে তার সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ আরেকটু দীর্ঘ হলো।টানা ১৬ টেস্ট ইনিংসে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি কোহলি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে করা ১৩৬ রানের ইনিংসটিই টেস্টে তার সবশেষে শতক।বাকি সময়ে আর বিপদ হতে দেননি উইকেটে নতুন আসা আজিঙ্কা রাহানে। দিনশেষে রাহানে অপরাজিত এক রানে। আর রাহুল খেলছিলেন ১২৭ রান নিয়ে।