বাংলাদেশের কাছে নাকাল হয়ে দেশে ফিরে গেছে অস্ট্রেলিয়া দল। সেখানে যেয়েও খুব একটা নিস্তার মিলছে না তাদের। অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়া ও সাবেক ক্রিকেটাররা একরকম ধুয়ে ফেলছেন ম্যাথিউ ওয়েডের দলকে।
দেশটির শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ শিরোনাম করেছে ‘দ্য টু টুর্স দ্যাট ওয়্যার আ ওয়েস্ট অফ টাইম’ (যে দুই সফর সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয়)। তাদের প্রতিবেদনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের দুই সফরে দলের বাজে পারফরমেন্সের রেকর্ড ও ব্যক্তিগত পারফরমেন্স নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আরেক জনপ্রিয় পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড শিরোনাম করেছে, ‘অস্ট্রেলিয়া ফিনিশ বাংলাদেশ টুর উইথ রেকর্ড লো স্কোর’ (রেকর্ড সর্বনিম্ন স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করল অস্ট্রেলিয়া)। একই ধরনের শিরোনাম করেছে আরেকটি পত্রিকা দ্য এজ।
দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, ‘অস্ট্রেলিয়া থ্র্যাশড বাই বাংলাদেশ আফটার কল্যাপসিং টু সিক্সটি টু অলআউট’ (৬২ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশের কাছে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া)।
শুধু মূলধারার সংবাদপত্র নয়, অস্ট্রেলিয়া দলের বাজে পারফরমেন্স নিয়ে মেতে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও।
চিরশত্রুর এমন ধসের আনন্দ নিতে ছাড়েননি সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ৬২ রানে অলআউট! এখন তাহলে পান করার সময়।’
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-তারকা ব্রাইডন কভারডেল ক্রিকেট দলকে খোঁচা মারতে ছাড়েননি। টুইটে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের দলের সঙ্গে কী হচ্ছে এটা নিয়ে কথা উঠলে শুনতে হবে আমরা অলিম্পিকসে দারুণ খেলেছি!’
আর অস্ট্রেলিয়ার স্কোরের সঙ্গে ভারতীয় নারী ব্যাটসম্যান শেফালি ভার্মার স্কোরের তুলনা করেছেন সাবেক ইংলিশ নারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ইসাবেল ওয়েস্টবারি। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট লিগ দ্য হান্ড্রেডসে শেফালি গত রাতে ৪২ বলে ৭৬ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার ৬২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে ওয়েস্টবারি লেখেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ছেলেরা সবাই মিলে যা রান করেছে শেফালি ভার্মা একাই তার চেয়ে বেশি করলেন। তাও আবার তাদের অর্ধেক বল খেলে। এর চেয়ে দারুণ কী হতে পারে।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হারের ধারাবাহিকতা শুরু ২০১৯ সালে। ওই বছর ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর তারা একে একে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। আর সবশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে।