অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এক ওভারে বল হাতে ৩০ রান দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডের সেই ওভারের পর শুরু হয় সমালোচনা।
তার পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টে সয়লাব হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ম্যাচ হারার কারণ হিসেবেও দায়ী করা হয় তাকে।
সাকিবের পুরো ক্যারিয়ারে যেমনটা হয়েছে, ঠিক তেমনটা আবার হলো। এক ম্যাচ খারাপ খেলায় সব দোষ এসে পড়ল তার ঘাড়ে। যেই সাকিবের হাত ধরে এসেছে অগণিত জয়, সেই সাকিবকে দেয়া হল না কোনো ছাড়।
এতোকিছুর পরও কিন্তু সাকিব ছিলেন চুপচাপ। এই নিয়ে কথাই বলেননি কোন।
সকল সমালোচনার জবাব সাকিব দিলেন মাঠে। সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথম ওভারে বল করতে এসেই ফেরান বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা ম্যাথিউ ওয়েডকে। এরপর তুলে নেন অ্যাস্টন টার্নারকে।আর সেই সঙ্গে নিজের নাম লেখান টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রান এবং ১০০ উইকেট শিকার করা প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে।
সাকিবের বোলিংয়ের কোনো জবাব ছিল না সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানদের কাছে। ১৫টি ডট বল করেন তিনি নিজের স্পেলে।
রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়ে নেইথান এলিসের উইকেট শিকার করে ঝুলিতে ভরেন নিজের তৃতীয় উইকেট। আর অ্যাডাম জ্যাম্পাকে ফিরিয়ে ঠুকে দেন অজিদের কফিনের শেষ পেরেকটি।
এক ম্যাচের বিরতিতেই বল হাতে আনপ্লেয়েবল হয়ে ওঠা সাকিব ৩ ওভার ৪ বল করে ৯ রানের খরচায় ৪ উইকেট শুধু ঝুলিতেই পুরেননি, হয়েছেন সিরিজ সেরাও।একই সঙ্গে জবাব দিয়েছেন তাকে নিয়ে চলা সমালোচনার।
ব্যাট হাতে ব্যর্থতার যে দায় চাপানো হয়েছিল তার ওপর, বল হাতে সেটি অবলীলায় মুছে দিয়ে সাকিব যেন জানান দিলেন কেন তিনি বিশ্বসেরা।