বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চতুর্থ ম্যাচই ছিল অঘটন

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২১ ২১:০২

বাংলাদেশের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ৬০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের দেয়া ১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাকিব-সাইফুদ্দিনের বোলিং তোপে ৬২ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারী দল।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারের পর অস্ট্রেলিয়া টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে সেটি ছিল অঘটন। তবে পুরো সিরিজে যেভাবে অস্ট্রেলিয়াকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে স্বাগতিক দল, তাতে ব্যবধান ৫-০ না হওয়াটাই এখন মনে হচ্ছে সিরিজের আসল অঘটন।

শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ৬০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের দেয়া ১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাকিব-সাইফুদ্দিনের বোলিং তোপে ৬২ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারী দল।

বাংলাদেশের লো ও স্লো উইকেটে ১২৩ রানের লক্ষ্যে এটি সহজ হবে না তা অনুমেয়ই ছিল। সেটিকে একেবারে পাহাড়সম বানিয়ে দেন সাকিব আল হাসান ও সাইফউদ্দিন।

অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ মানের ব্যাটিং লাইন-আপের কাছে জবাব ছিল না স্বাগতিক বোলারদের ভ্যারিয়েশন, স্লোয়ার ও লেংথের।

শুরুটা করেন নাসুম আহমেদ। ড্যান ক্রিস্টিয়ান ও মিচেল মার্শকে ফিরিয়ে তৈরি করেন মঞ্চ।

এরপর সেই মঞ্চে আবির্ভূত হন বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে প্রচণ্ড মার খাওয়ার পর এই ম্যাচে পুরো ঝালটা ওঠান অজিদের ওপর দিয়ে।

একে একে তুলে নেন ম্যাথিউ ওয়েড, অ্যাস্টন টার্নার, নেইথান এলিস ও অ্যাডাম জ্যাম্পাকে। ৩.৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট।

উইকেট উদযাপন করছেন সাকিব। ছবি: এএফপি

অন্য প্রান্তে সাকিবকে যোগ্য সহায়তা করেন আরেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার সিরিজে খেলার সুযোগ পেয়েই ৩ উইকেট তুলে নেন এই পেইসার।

অ্যালেক্স ক্যারি, মোয়েজেস এনরিকেস ও অ্যাস্টন এইগারকে শিকার করেন সাইফউদ্দিন।

পুরো সিরিজের মতো এই ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছে মিরপুরের পিচ। সাকিবের নেতৃত্বে স্বাগতিক বোলাররা ভরপুর ফায়দা লুটেছেন নিজেদের হাতের তালুর মতো পরিচিত পিচ থেকে।

সিরিজের চার ম্যাচে অজি ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ানো মুস্তাফিজ এই ম্যাচে মাত্র ১ ওভার বল করেছেন। তারপরও ১৪ ওভার টেকেনি তাদের ইনিংস।

১৩.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯।

আর অস্ট্রেলিয়ার ১৪৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই ছিল ওভারের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট ইনিংস। এর আগে কখনই ১৩.৪ ওভারে অলআউট হয়নি অস্ট্রেলিয়া।

নিজের করা ২২ বলে ১৫টি ডট দিয়ে ৪ উইকেট নেয়া অসাধারণ সাকিব আল হাসান ম্যাচে সেরা ও সিরিজ সেরা হন।

এর আগে, সন্ধ্যায় টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন উইকেটে স্বাগতিক লাইনআপের সবাই অবদান রাখেন স্কোর চ্যালেঞ্জিং বানাতে। প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানের সবাই দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন।

সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন নাঈম শেখ। মাহমুদুল্লাহ করেন ১৯। সবার স্কোর মিলিয়ে বোর্ডে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১২২ রান তোলে টাইগাররা।

শেষ পর্যন্ত সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোর সঙ্গে মিল রেখে সেটাই যথেষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। অজিরা কোনো রকমে টপকায় লক্ষ্যের অর্ধেকটা। বিকেলেই শাহজালাল বিমানবন্দরে চার্টার্ড বিমান চলে এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার উড়াল দেয়ার জন্য। হারের লজ্জা ঢাকতেই কিনা সরাসরি মাঠ থেকে বিমানবন্দরে গেছে ম্যাথিউ ওয়েডের দল!

বাংলাদেশের এই জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার।

আপাতত কয়েক দিনের বিশ্রাম স্বাগতিক স্কোয়াডের। দিন দশেকের বিশ্রাম শেষে নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতিতে ফিরবেন ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমন অনায়াস জয় নিশ্চিতভাবেই করোনার সময়েও চাঙা রাখবে টাইগারদের।

এ বিভাগের আরো খবর