সিরিজের পঞ্চম এবং শেষ ম্যাচে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হচ্ছে খেলা।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। টানা তিন জয় তুলে নিলেও চতুর্থ ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় টাইগারদের হারতে হয় ৩ উইকেটে।
ক্লিন সুইপের লক্ষ্যে খেলতে নেমে হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর চাওয়া সিরিজটা যেন শেষ হয় ৪-১ ব্যবধানে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ স্বাগতিকদের সামনে।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জিতলেও তাদের জয় এসেছে অনেক সংঘর্ষের পর। আর সে কারণেই স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
সহায়ক উইকেটে দলের বোলাররা দুর্দান্ত করলেও, ব্যাটসম্যানরা নিজেদের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। মাহমুদুল্লাহ আগের ম্যাচের হারের পর নাখোশ ছিলেন ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উইকেটের সঠিক ব্যবহার করতে পারিনি। আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত খেলেছে যেটা ব্যাটসম্যানরা পারেনি।’
অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য জয়। টানা তিন ম্যাচ হারের লজ্জা ঢাকতে শেষ দুই ম্যাচ জিতে দেশে ফেরার লক্ষ্য ম্যাথিউ ওয়েডের। বাংলাদেশ সফরে ক্রমাগত ব্যর্থ ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে মোটেও স্বস্তিতে নেই সফরকারী দল।
এমন কন্ডিশনে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের রানের জন্য লড়তে হয়েছে মনে করেন ওয়েড। চতুর্থ ম্যাচের পর বলেছিলেন, এই উইকেট দেরিতে হলেও আয়ত্তে আসছে তাদের।
তিনি যোগ করেন, ‘এমন নয় যে শুধু আমরাই বাজে ব্যাটিং করছি। বাংলাদেশকেও সংগ্রাম করতে হয়েছে। পরের ম্যাচে আমাদের ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে আরও রান করার সুযোগ তৈরী হয়েছে।’
শেষ ম্যাচে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার পুরো সিরিজে ম্লান ছিলেন। তাদের জায়গায় মোহাম্মদ মিঠুনকে দেখা যেতে পারে একাদশে। আফিফ হোসেন আসতে পারেন ওপেনিংয়ে।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সিরিজ শেষে ছুটিতে যাচ্ছেন। তাকে আজ বিশ্রাম দিলে একাদশে থাকবেন মোসাদ্দেক সৈকত।
বড় পরিবর্তন আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ার একাদশেও। কেননা গেল ম্যাচের শেষে তিন স্পিনারে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ম্যাথিউ ওয়েড। সেই সঙ্গে টানা চার ম্যাচ খেলা জশ হেইজলউডকে দেয়া হতে পারে বিশ্রাম।
বাংলাদেশ সম্ভাব্য একাদশ: সৌম্য সরকার/মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান/মোসাদ্দেক সৈকত, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়া সম্ভাব্য একাদশ: ম্যাথিউ ওয়েড (অধিনায়ক), বেন ম্যাকডারমট, মিচেল মার্শ, মোয়েজেস এনরিকেস, অ্যালেক্স ক্যারি, অ্যাস্টন টার্নার, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, অ্যাস্টন এইগার, মিচেল সোয়েপসন, অ্যান্ড্রু টাই ও জশ হ্যাজলউড/মিচেল স্টার্ক।